নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাঙামাটি যাওয়ার পথে রাঙ্গুনিয়ায় গাড়িবহরে হামলার পর মহাসচিবসহ নেতাদের সেখান থেকে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমাদের মহাসচিবের ওপর রাঙ্গুনিয়ায় যে আক্রমণ হলো, এই আক্রমণের পরে আমাদের নেতৃবৃন্দের ফেরত আসাটাকে আমি মন থেকে গ্রহণ করি না। আক্রমণ করছে, সেই আক্রমণকে মোকাবেলা করেই আমাকে গন্তব্যে যেতে হবে। তারা (ক্ষমতাসীন) বাধা তো দেবেই। কেন বাধা দেবে? আমি যেখানে যাচ্ছি সেখানে যেতে দেবে না এবং বাধা মোকাবেলা করে আমাকে সেখান পর্যন্ত পৌঁছতে হবে।
“সরকারের নির্দেশ-আদেশ শুনে-চলে আমি তো আন্দোলন করতে পারব না এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষাও বাস্তবায়ন করতে পারব না। আমি বলব যে, বাধা আসবে, বাধাকে মোকাবিল করতে হবে। বাধা আসলে বাধবে লড়াই, সেই লড়াইয়ে জিততে হবে।”
গত ১৮ জুন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ী ধসে হতাহতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে যাওয়ার পথে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আলম চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দ রাঙ্গুনিয়ার কাছে হামলার মুখে পড়েন।
বিএনপির নেতাকর্মীদের সাহসী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, “অনুমতি দেবে না, আমি করব না। অনুমতি না চেয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। এতোটা আনুগত্যশীল বিরোধী দল হলে চলবে না।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ’৭১ এর উদ্যোগে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়।
ওবায়দুল কাদেরের সকাল-বিকালের চাপাবাজি
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “নয়টি বছর গেল বাংলাদেশের লুটপাটের অভয়ারণ্য। মেগা বাজেট মানে মেগা লুটপাট। আপনারা দেখেন ফ্লাইওভারের নামে ঢাকা শহরে কী চলছে? ঢাকা শহরে যতটি গর্ত আছে, আজিমপুরে ততটি কবর নেই। এ হলো ওবায়দুল কাদেরের সকাল-বিকাল চাপাবাজি।
“আবার মাঝে-মধ্যে তিনি বিএনপি সম্বন্ধে বিদ্রুপ করেন, কটাক্ষ করেন। বিএনপিকে কটাক্ষ করার মতো যোগ্যতা ওবায়দুল কাদেরের নাই। কথা বলার সময় হাতে মুঠো পাকান, নাটকের অভিনেতাদের মতো অভিনয় করে আপনি কথা বলেন, সাজিয়ে সাজিয়ে কথা বলেন। আপনার কথাবার্তা শুনলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও খুব লজ্জা পায়। এমন একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক, যার কথাবার্তা শুনলে মনে হয় যে, তিনি একজন প্রতিবন্ধীর মতো।”
ওবায়দুল কাদেরকে কম কথা বলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রতিদিনই কথা বলতেই আছেন। কথা একটু বন্ধ করেন, এতো কথা বলার অধিকার আপনাদের নেই, যোগ্যতাও নেই।”
সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, আশরাফ উদ্দিন বকুল, এলবার্ট পি কস্টা, জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন বক্তব্য রাখেন।
সংগঠনের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, কাদের গণি চৌধুরী, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, কল্যাণ পার্টির সহসভাপতি শাহিদুর রহমান তামান্না প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএম