লন্ডন, ১৭ এপ্রিল ২০১৭ (বাসস) : মা প্রিন্সেস ডায়নার আকস্মিক মৃত্যুতে ব্রিটেনের প্রিন্স হ্যারি পুরোপুরিই ভেঙে পড়েছিলেন।পরিস্থিতি সামলে নিতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞেরও সাহায্য নিতে হয়েছিল তাকে। সোমবার প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে হ্যারি এসব কথা বলেন।
দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাথে কথা বলার সময় ৩২ বছর বয়সী প্রিন্স আরো বলেন, ১৯৯৭ সালে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় ডায়নার মৃত্যুর পর তিনি বছরের পর বছর ধরে তার আবেগ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছিলেন। মা’র মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর।
তিনি বলেন, ‘তিনি আবেগ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছিলেন কারণ তার ভাষায়, মা হারানোর কষ্টের মুখোমুখি হওয়া আর বালুচরে মাথা ঠোকা একই কথা।’
হ্যারি জানান, বিপর্যস্ত দশা কাটাতে তাকে ২৮ বছর বয়স পর্যন্ত মনোচিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়। এ কষ্ট কাটিয়ে উঠার ক্ষেত্রে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের পাশাপাশি তার বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের ‘অনেক সহযোগিতা’ পান তিনি।
অতীত দু:খ এবং মানসিক সমস্যা কাটাতে সহায়তা নেয়ার কথা স্মরণ করে প্রিন্স বলেন, সংবাদমাধ্যমের অতি আগ্রহের প্রতি তার খুবই অনীহা ছিল। ফলে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে তাকে খুব কমই দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট প্যারিসের আন্ডারপাসে মর্মান্তিক এক গাড়ি দুর্ঘটনায় ডায়না ও তার বয়ফ্রেন্ড দোদি নিহত হন। তাদের ফরাসি গাড়ি চালক হেনরি পল ফটোগ্রাফারদের এড়াতে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

