স্পোর্টস ডেস্ক:
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংলিশ ছেলেরা এখনো চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। তবে ইংলিশ মেয়েরা হতাশ করেনি ব্রিটিশদের। ১৯৭৩ সালে প্রথম বিশ্বকাপেই ইংলিশ মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান মেয়েদের হারিয়ে।
এরপর থেকে নিয়মিতই মেয়েদের বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়ে আসছে। কখনো অস্ট্রেলিয়া, কখনো নিউজিল্যান্ড আবার কখনো ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। গত দশটা মেয়েদের বিশ্বকাপ এই তিন দলই নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৬ বার, ইংল্যান্ড ৩ বার এবং নিউজিল্যান্ড একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এমনকি এই তিন দলের বাইরে ফাইনাল খেলেছে কেবল ভারত (২০০৫) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২০১৩)।
মেয়েদের ক্রিকেটের এই ইতিহাস নিয়েই আজ থেকে ইংল্যান্ডে শুরু হচ্ছে আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ। ডার্বির কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইংল্যান্ড-ভারত ম্যাচের মধ্য দিয়ে যাত্রা করছে ১১তম এ বিশ্বকাপ। এ ছাড়াও আজ মাঠে নামছে নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার মেয়েরা। এবারের বিশ্বকাপে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ফেবারিট হিসেবেই অংশ নিচ্ছে। তবে স্বাগতিক ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং ভারতও এবার অন্যতম ফেবারিট। এ ছাড়াও পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেয়েরা তো আছেই।
মেয়েদের আটটি দল এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে খেলা হওয়ার পর সেরা চারটি দল নিয়ে হবে সেমিফাইনাল। কারা খেলতে পারে এবার সেমিফাইনালে! অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে এই তালিকায় রাখতেই হবে। বাকি দুটি দলের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের মেয়েদের থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এ ছাড়া ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজও থাকতে পারে সেমিফাইনালে।
সব মিলিয়ে এবারের আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ অন্যবারের তুলনায় অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন সবাই। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক তো এরই মধ্যে বলে দিয়েছেন, এবারের বিশ্বকাপে প্রায় প্রতিটা দলই ফেবারিট। অবশ্য এর মধ্যে তিনি আবারও বিশ্বকাপ জয়ের ঘোষণাও দিয়েছেন। দেখা যাক, অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের একাধিপত্য শেষ করে এবার নতুন কোনো দল আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে কি না! আট দলের মধ্যে রাউন্ড রবিন পর্বে মোট ২৮টা ম্যাচ খেলবে আট দল। এ ছাড়াও সেমিফাইনাল ও ফাইনালের তিনটি। মোট ৩১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এবারের টুর্নামেন্টে। ২৩ জুলাই বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ