আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামীদের দমন করতে চারটি জেলার সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে প্রায় ২০০০ জন সেনাসহ দুই অতিরিক্ত সেনা ব্যাটালিয়ন পাঠাচ্ছে দিল্লি। ওই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান সঙ্কটের কারণে একে নতুন ‘গ্রাউন্ড জিরো’ হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম, আনন্তনাগ, সোপিয়ান ও পুলওয়ামাতে অতিরিক্ত বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে সোপিয়ান ও পুলওয়ামায় পুরনো কিছু সেনা ঘাঁটি পুনর্নির্মাণ করা হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা আরো বলেন, শক্তিবৃদ্ধির জন্য সেনা বাহিনী ইতোমধ্যে কাশ্মীরের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে এবং ঐ জেলা সমুহের দুর্বল এলাকায় তাদের পোস্ট করা হবে।
সেনাবাহিনীর ভিক্টর ফোর্সের জেনারেল অফিসার কমান্ড মেজর জেনারেল বি এস রাজু যাকে দক্ষিণ কাশ্মীরের এলাকাটির দায়িত্বে দেয়া হয়েছে, তিনি বৃহস্পতিবার ওই অঞ্চলে একটি জরিপ পরিচালনা করেন।
‘দক্ষিণ কাশ্মীর একটি জঙ্গি হাব এ পরিণত হতে যাচ্ছে’ কথিত গোয়েন্দা সূত্রে এমন রিপোর্টের পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। কর্মকর্তারা জানান, ঐসকল স্থানীয়দের সাহায্যের জন্য সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা হবে যারা সম্ভবত জঙ্গিদের দ্বারা ‘ভীত’ ছিল। যেখানে ক্যাম্পগুলো স্থাপন করা হচ্ছে তাদের মধ্যে আছে পুলাওামারের লিডের এবং সোপিয়ান এলাকা যেই দুটি স্থানের মধ্যে জঙ্গিরা তাদের বেস স্থাপন করেছে বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।
এর পাশাপাশি মধ্য কাশ্মীরের বাগদাম অঞ্চলেও ক্যাম্প থাকবে। আর নতুন দুটি ক্যাম্প হবে হেফ শ্রিমামের সীমান্তে জেইনপোরা এবং খুদওয়ানি ও নাগাল্ল এলাকায়। এই চারটি ক্যাম্পের মাধ্যমে চার জেলায় সেনা প্রভাব বাড়ানো হবে।
সেনাবাহিনী গ্রামবাসীদের সাথে দেখা করার জন্য একটি প্রোগ্রাম চালু করেছে যেখানে তারা কাউন্টার-বিদ্রোহ অপারেশন থেকে দূরে থাকতে তাদের অনুরোধ করবেন।
সূত্র জানায়, সেনাবাহিনীর অপারেশনের সময় স্থানীয়রা প্রায়ই বিদ্রোহীদের কাছাকাছি চলে আসেন যাতে করে সেনাবাহিনী বেশ বিপাকে পরে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএম