আল-আমিন এম তাওহীদ, ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলা জেলা নারী পুলিশ কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার কার্যলয় মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ও ভোলার বিভিন্ন স্থানের গরিব অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেনের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফারহানা তারজীম সভানেত্রী ভোলা জেলা নারী পুলিশ কল্যাণ সমিতি (পুনাক)।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমান হাবিব, ভোলা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাঈফ, ভোলা সদর হেডকোয়ার্টার সার্কেল, ভোলা লালমোহন সার্কেল রফিকুল ইসলাম, ভোলা জেলা গোয়েন্দা ইনচার্জ মোহাম্মাদ ফারুক, ভোলা সদর মডেল থানার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবীর প্রমূখ।
এসময় ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন বলেন, পবিত্র মাহে রমযান ও ঈদকে সামনে রেখে ভোলার জনগণের সকল নিরাপত্তার জন্য ভোলা জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।মাঠে ঘাটে সকল ধরনের নিরপত্তার জন্য পুলিশ সদস্যরা রয়েছে।
এসময় তিনি আরো বলেন,ইদানিং ভোলায় জ্বীন এর বাদশা বেড়ে গেছে। বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এই জ্বীনের বাদশা দমনে পুলিশ প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ভোলার এক মহিলার ৭০লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তিন জ্বীনের গডফাদার। এই তিন জ্বীনের গডফাদারকে ২১জুন রাতে ভোলা জেলা পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে।এর আগেও ভোলায় এক জ্বীনের বাদশা ৬লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।সেই ৬লক্ষ টাকা ভোলা জেলা পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। আমি ভোলা জেলাকে মাদক মুক্ত জেলা গড়বো। ভোলার মাটিতে কোন মাদক ব্যবসায়ী মাদকের ব্যবসা করতে পারবে না।এই রমযান মাসেও কিছু মাদক ববসায়ীকে ইয়াবা গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে।জ্বীনের বাদশা,প্রতারক, মাদক, ইয়াবা উদ্ধার করতে ভোলা জেলা পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পরে আলোচনা শেষে,গরিব অসহায় নদীবাঙ্গা, প্রতিবন্ধি, ভিক্ষুকদের মাঝে ২১০ খান বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
এসময়, ভোলার এক মহিলা জ্বীনের বাদশার খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে পথের ভিক্ষারীতে পরিনত হয়েছে। সেই জ্বীনের বাদশাকে ভোলা জেলা পুলিশ আটক করে। আজ ৫০হাজার টাকা উদ্ধার করে অসহায় মহিলার হাতে দেন ভোলা জেলার সফল পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএম