১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং | ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:১১

৩৩ পেয়েও ১৮ শিক্ষার্থী ফেল কেন: হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গণিত পরীক্ষায় পাস নম্বর থাকার পরও এসএসসি পরীক্ষায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৮ শিক্ষার্থীকে অকৃতকার্য দেখানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আজ বৃহস্পতিবার রিটকারীদের আইনজীবী সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষাসচিব, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষ বন্দর গার্লস স্কুল, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ ৯ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে আইন বহির্ভুতভাবে গণিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য দেখানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মারিয়া ইসলাম, রোকেয়া আক্তার বিথী, সুমাইয়া আক্তারসহ ১৮ পরীক্ষার্থী।

আইনজীবী সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী জানান, গ্রেড সিস্টেম অনুযায়ী কোনো বিষয়ে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩৩ নম্বর পেলে তা ডি গ্রেডের অন্তর্ভুক্ত হবে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ বন্দর গার্লস স্কুলের এই ১৮ পরীক্ষার্থী গণিতে ৩৩ এর বেশি নম্বর পেলেও তাদের অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। যা আইনের লঙ্ঘন। এ ছাড়া মারিয়া ইসলাম, রোকেয়া আক্তার বিথীসহ ১৮ পরীক্ষার্থী অন্যন্য বিষয়ে এ প্লাস, এ গ্রেড নম্বর পেয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়, এসএসসির গণিত পরীক্ষায় এমসিকিউ পরীক্ষা শুরুর সময় আইন বহির্ভুতভাবে সিট পুনর্বিন্যাস করা হয়। এতে এমসিকিউ ৩০ মিনিট সময়ের মধ্যে ২০ মিনিট সময় নষ্ট হয়। কিন্তু কক্ষের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি পরীক্ষার্থীদের ওই ২০ মিনিট সময় পরবর্তীতে দেননি। এটাও আইনের লঙ্ঘন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এই রুল জারি করেন।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :জুন ২২, ২০১৭ ৩:৩৪ অপরাহ্ণ