নিজস্ব প্রতিবেদক:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে লাঠি দিয়ে এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন এক যুবলীগ নেতা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ইন্দুরকানী উপজেলার চন্ডিপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতের নাম আসাদুল ইসলাম মুন্না (২৫)। তিনি বালিপাড়া ইউনিয়নের চরবলেশ্বর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলামের ছেলে। এছাড়া মুন্নাও স্থানীয় যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মি।
আহত মুন্না জানান, গত কয়েকদিন আগে উপজেলার চন্ডিপুর বাজারের একটি মার্কেটে সৌদি প্রবাসীর এক স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে থাপ্পর মারেন আসাদুল মাতুব্বর। তিনি বালিপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
মুন্না জানান, এ ঘটনা নিয়ে তিনি তার নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন। একারণে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চন্ডিপুর বাজরে তার ওপর হামলা করা হয়। লাঠি দিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দেন ওই যুবলীগ নেতা। বর্তমানে তিনি মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা আসাদুল মাতুব্বর সাংবাদিকদের জানান, মুন্নার সাথে তার কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। মূলত এক নারী সংক্রান্ত বিয়য় নিয়ে তাকে জড়িয়ে মুন্না তার ফেসবুকে নিজের আইডিতে আপত্তিকর মন্তব্য করে। এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে বালিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা শিকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আসাদুলের ওপর হামলার ঘটনা আমি শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে আমরা বিষয়টি আজ কালের মধ্যে দলীয়ভাবে বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসার জন্য বসব। এ ব্যাপারে মুন্না জানান, বৈঠকে মীমাংসা না হলে তিনি মামলা করবেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ