আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাবা দিবসে ছেলে-মেয়েরাই তো দৌড়-ঝাঁপ শুরু করে। বাবাকে নতুন একটা উপহার দিয়ে চমকে দেওয়ার জন্য কতো পরিকল্পনাই না থাকে তাদের। কিন্তু এবার এই বাবা নিজেই দিবসটি পালনের তোড়জোড় শুরু করলেন। কারণ, মেয়ের সঙ্গে দেখা হচ্ছে তার। তাও কত বছর পর জানেন? সুদীর্ঘ ৪০ বছর পর!
মেয়ে জিল জাস্টামন্ড বলেন, বাবা সম্পর্কে মায়ের কাছ থেকে খুব কম তথ্য জেনেই বড় হয়েছি। শুধু জানতাম, আমার বাবার নামের প্রথম অংশটি হলো ‘আল’। তিনি ছিলেন ইতালিয়ান এবং ১৯৭০ এর দশকে নিয়ারি নামের একটি বারে কাজ করতেন।
এপ্রিলে জিল ফেসবুকের একটি গ্রুপে পোস্ট দেন। ওটা প্যালিসাডেস পার্ক নিয়ে কাজ করে। বাবার কাজ করা সেই শেষ হয়ে আসা বারটি এখানেই অবস্থিত। ওই পোস্টটির মাধ্যমেই বারটির সাবেক মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ হয় জাস্টামন্ডের। তার সঙ্গেই কথা হয়ে বারের এমন এক কর্মীর সঙ্গে যার নামের প্রথম অংশ ‘আল’।
জাস্টামন্ড জানান, ১৯৭৬-১৯৭৭ সালের দিকে কাজ করতো আল নামের একজন কর্মীকে চেনেন কিনা তা জিজ্ঞাসা করি সাবেক মালিককে। তিনি অনায়াসে চেনেন এবং বলেন, হ্যাঁ, তুমি আল আনুনজিয়াতার কথা বলছো?
এর পর পরই আনুনজিয়াতাকে মেসেজ করে জানতে চাওয়া তার সংক্ষিপ্ত নাম ‘আল’ কিনা। এ মেসেজ জিলই পাঠান। তিনি আরো লেখেন, আপনি নিশ্চয়ই আমার জন্মদাত্রীকে চিনবেন। তার নাম লিন্ডা। পরে আল সংবাদমাধ্যমকে জানান, এ কথা শোনার পর আমার হৃদকম্পন বেড়ে গেলো।
ক্লিফসাইড পার্কে বাস করেন ৬৩ বছর বয়সী আনুনজিয়াতা। কিন্তু সেই সময় কি হয়েছিল, কেন হয়েছিল এসব প্রশ্ন আর জবাব তাদের মাঝেই থাক। বেশ কয়েকটি পরীক্ষার পর প্রমাণ মিলেছে যে আনুনজিয়াতাই জিলের বাবা।
মেয়ের জন্মের পর থেকেই তাকে দেখেননি বাবা। মেয়ের বয়স এখন ৪০। সুদীর্ঘ ৪০ বছর পর দেখা হলো বাবা-মেয়ের। বাবা দিবসটা তো আনুনজিয়াতারই, তাই না? সূত্র : এমিরেটস
দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ