২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:৪৭

বাজেটে বিচার বিভাগ ও শিক্ষা খাতকে বরাদ্দের দিক থেকে অবহেলা করা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংকিং খাতের অব্যবস্থাপনা মোকাবেলার জন্য কোনো পদক্ষেপের নির্দেশনা নেই। এছাড়াও বাজেটে বিচার বিভাগ ও শিক্ষা খাতকে বরাদ্দের দিক থেকে অবহেলা করা হয়েছে বলে মনে করে গণফোরাম।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এসব কথা বলেন। গণফোরামের মতে, ব্যাংকিং খাতের অব্যবস্থাপনার কারণে যে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে, ভবিষ্যতে তা মোকাবেলার জন্য বাজেটে কোনো পদক্ষেপের নির্দেশনা নেই। সোনালী ব্যাংক থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি, বেসিক ব্যাংক থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। ফলে এ বাজেট টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে কতিপয় চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে বিচার বিভাগের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণের বহি:প্রকাশ ঘটেছে। চলতি অর্থবছরে যেখানে বিচার বিভাগের খাতে বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। সেখানে প্রস্তাবিত বাজেটে সেটি কমিয়ে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। অথচ প্রতিটি খাতেই বরাদ্দ বেড়েছে। বিচার বিভাগের মতো শিক্ষা খাতকেও অবহেলিত করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা করার দরকার তা জনগণের জানা আছে। এ জন্য সংঘবদ্ধ হতে হয়। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হয়। মৌলিক ব্যাপারে সাড়ে সাত কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে অতীতে আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছি। এখন ১৬ কোটি মানুষ যদি দাঁড়িয়ে বলে আমরা এ দেশটার মালিক তাহলে কি উপেক্ষা করতে পারবে কেউ? মৌলিক ব্যাপারে দেশের জনগণের মধ্যে কোনো অনৈক্য নেই।

তিনি বলেন, প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র হলেই দেশে যারা ভোটার তারা নির্বাচিত করবেন কারা নির্বাচিত হবেন, কারা তাদের কথা সংসদে বলবেন, কে সংসদ সদস্য হবেন। দেশে একশত লোকের একশ ভাগই বলবে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার। জনগণকে বলতে হবে, আমরাই দেশের মালিক, কিন্তু আমাদের উপেক্ষা করা হচ্ছে। এখন অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে সবাই সোচ্চার। একটি নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। আমরা সবাই বলছি অবশ্যই নির্বাচনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু সেটি হতে হবে অবাধ নিরপেক্ষ।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ১৫ শতাংশ ভ্যাট হার নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ভ্যাট উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলবে। ব্যাংক আমানতের ওপর বাড়তি আবগারি শুল্ক আরোপ করায় সরকারের ভেতর থেকে সমালোচনা আসছে। বাজেট পাসের আগে এ ধরনের জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করা উচিত।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- গণফোরামের মহাসচিব মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি মফিজুল ইসলাম খান কামাল, প্রেসিডিয়াম সদস্য তবারক হোসেন ও এডভোকেট জগলুল হায়দার  প্রমুখ।

দৈনিক দেশজনতা/এন আর

 

প্রকাশ :জুন ১৬, ২০১৭ ৮:২৫ অপরাহ্ণ