সু চি তার বক্তব্যে রাখাইনে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন। রোহিঙ্গা নিপীড়নে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের কোনো উল্লেখই তিনি করেন নি।
সু চি জানান, গণহত্যা ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযানে যুগোস্লাভিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযোগ আনা হয়নি। গণহত্যার যে কনভেনশন তা সার্বদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়নি। গাম্বিয়া আদালতে মিয়ানমারের ‘অসত্য ও অসম্পূর্ণ’ চিত্র উপস্থাপন করেছে।
রাখাইনে সেনা অভিযান প্রসঙ্গে মিয়ানমার নেত্রী বলেন, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ২০১৭ সালে কয়েক হাজার সদস্য নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চৌকিতে হামলা চালায়। আরসা ও আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযানের সময় সন্ত্রাসী ও বেসামারিক নাগরিকদের পৃথক করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনার বিচার মিয়ানমারের সামরিক আদালতে হয়েছে।
রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতে আনার সমালোচনাও করেন তিনি।
তিনি দাবি করেন, অভ্যন্তরীন বিচার ব্যর্থ হলে তখনই আন্তর্জাতিক বিচারের প্রসঙ্গ আসে। যেহেতু বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনায় অভ্যন্তরীণ আদালতে বিচার হয়েছে এবং বিচার চলছে সেহেতু আন্তর্জাতিক আদালতে এই অভিযোগ আনা অনভিপ্রেত।