প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স থেকে শহরটির প্রধান টেক করিডোর হিসেবে খ্যাত হোয়াইটফিল্ড, মারাথাহল্লি এবং ইলেকট্রনিক্স সিটি-র নিয়োগদাতা এজেন্সিগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলাভাষী গৃহপরিচারিকা, নিরাপত্তারক্ষী বা অন্য কর্মীদের যেন তাদের অ্যাপার্টমেন্টে পাঠানো না হয়।
অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সগুলোর বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অ্যাপার্টমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আইনি জটিলতা এড়াতে তারা যেন বাংলাভাষীদের নিয়োগ না দেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, বহু স্থানীয় বাসিন্দা ইতোমধ্যে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান, শহরের রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কারের দায়িত্বে থাকা ব্রুহাট ব্যাঙ্গালুরু মহানগর পালিকা (বিবিএমপি) এবং শহরের পুলিশ কমিশনারের কাছে বহু ইমেইল পাঠিয়েছেন। এসব মেইলে তারা যাদের অভিবাসী বাংলাদেশি কর্মী হিসেবে সন্দেহ করছেন; তাদের উল্লেখ রয়েছে।
মারাথাহল্লির মুন্নেকোলালার রোহান বসন্ত অ্যাপার্টমেন্টের একজন বাসিন্দা দেবায়নি বসু। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তিনি বলেন, আমাদের অ্যাপার্টমেন্ট চেয়ারপারসন বাঙালি কর্মী নিয়োগ না দেওয়ার জন্য বলেছেন। কেননা, এটি আমাদের কমিউনিটিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। রবিবারের বৈঠকে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।
দেবায়নি বসু নিজেও একজন বাঙালি (পশ্চিমবঙ্গের মানুষ)। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ভাষার মধ্যে খুব মিল রয়েছে। এমনকি আমরা সহজেই বাংলাদেশিদের চেয়ে ভালো বাংলা বলতে পারি না।
মারাথাহল্লির মুন্নেকোলালার রোহান বসন্ত অ্যাপার্টমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রভু পাতিল। তিনি বলেন, কমপ্লেক্সের অনেক বাঙালি (পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা) পরিবার বাংলাদেশি বুয়া রেখেছে। আমরা সেসব পরিবারকে অবিলম্বে এসব কর্মীর আধার কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে বলেছি।
প্রভু পাতিল বলেন, আমরা প্রায় ১০০ জন বাংলাভাষী গৃহকর্মী শনাক্ত করেছি। কাল আমরা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের বাঙালি সমিতিকে নিয়ে বসবো এবং এই কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবো।
ব্যাঙ্গালুরু অ্যাপার্টমেন্টস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট মুরালিধর রাও দাবি করেন, তার সংগঠন থেকে অ্যাপার্টমেন্ট সংস্থাগুলোকে এ ধরনের কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা সজাগ নই। কিছু অ্যাপার্টমেন্ট হয়তো এটা করেছে। প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টই অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ওপর ধরপাকড়ের প্রেক্ষিতে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারে।