২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:৩০

এফডিসিতে টেলি সামাদকে শেষবিদায়

দেশজনতা বিনোদন : এফডিসিতে টেলি সামাদের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: আবদুস সালামআগেই নির্ধারিত ছিল আজ রোববার বেলা ১১টায় চলচ্চিত্রের শক্তিশালী ও জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদের মরদেহ আনা হবে এফডিসিতে। নির্ধারিত সময়ের আগেই মরদেহ বহনকারী গাড়ি এসে পৌঁছায়। দীর্ঘদিনের সহকর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ এসেছিলেন তাঁকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে। তবে টেলি সামাদের শেষযাত্রায় চলচ্চিত্রের নতুন প্রজন্মের কাউকে দেখা যায়নি। টেলি সামাদের জানাজায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এসে পৌঁছান দুপুর সোয়া ১২টায়। মন্ত্রী আসার পরই শুরু হয় জানাজা। এরপর টেলি সামাদের মরদেহ নিয়ে পরিবার রওনা করে মুন্সিগঞ্জের নয়াগাঁও গ্রামে।

প্রয়াত টেলি সামাদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। ছবি: প্রথম আলোএফডিসিতে কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদের জানাজা দুপুর সাড়ে ১২টায় সম্পন্ন হয়। টেলি সামাদের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তথ্যসচিব আবদুল মালেক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নায়ক ও সাংসদ চিত্রনায়ক ফারুক, বরেণ্য চিত্রনায়ক আলমগীর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা, আলী রাজ, অমিত হাসান, সম্রাট, সংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর, রফিকুল আলম, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানসহ কয়েকজন পরিচালক ও প্রযোজক। তবে এফডিসিতে টেলি সামাদের জানাজায় এ প্রজন্মের কোনো নায়ক-নায়িকা কিংবা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দেখা যায়নি।

জানাজা শেষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘টেলি সামাদ চার দশক ধরে অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্রকে আলোকিত করেছেন। তাঁর মতো শিল্পীর মৃত্যুতে চলচ্চিত্রের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’বাবা টেলি সামাদকে নিয়ে কথা বলেন সোহেলা সামাদ। ছবি: প্রথম আলোএফডিসিতে আনার আগে তিন দফায় টেলি সামাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গুণী এই অভিনেতার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী তাঁকে মুন্সিগঞ্জের পারিবারিক গোরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।

পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে হৃদ্‌রোগসহ নানা জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন টেলি সামাদ। তাঁকে প্রায়ই হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন অবস্থা আরও খারাপ হলে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই কৌতুক অভিনেতাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। গতকাল শনিবার বেলা দেড়টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলেসহ অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন। দুই মেয়ে সোহেলা সামাদ ও সায়মা সামাদ ঢাকায় এবং ছেলে সুমন সামাদ যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন।

টেলি সামাদকে স্মরণ করেন সাংসদ ও চিত্রনায়ক ফারুক। ছবি: প্রথম আলোটেলি সামাদের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় গতকাল শনিবার মাগরিবের নামাজের পর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে। দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এশার নামাজের পর পশ্চিম রাজাবাজার মসজিদে। তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় মগবাজারে দিলু রোডে শ্যালকের বাড়ির সামনের মসজিদে। মেয়ে সায়মা সামাদ জানান, বাবা টেলি সামাদের মরদেহ লাশবাহী গাড়িতে তাঁর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় ছিল। বাদ আসর টেলি সামাদের পঞ্চম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে মুন্সিগঞ্জের নয়াগাঁও গ্রামে।

প্রকাশ :এপ্রিল ৭, ২০১৯ ৬:২৩ অপরাহ্ণ