২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:৫৬

শাজাহান খানের নেতৃত্বে সড়কে শৃঙ্খলা কমিটি হাস্যকর: বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার নামে সড়ক পরিবহন ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ জাতীয় কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানকে আহবায়ক করে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তা রীতিমতো হাস্যকর। এই শ্রমিক নেতার কারণেই সড়কে যতো প্রাণহানি ও বিশৃঙ্খলা ঘটেছে। যখনই সড়কের অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা নিয়ে আন্দোলন হয়েছে তখনই এই শাজাহান খানরা’ই বাধার সৃষ্টি করেছে। মূলত: সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির জন্য এই নেতাই অনেকাংশে দায়ী। কাজেই তাকে আহবায়ক করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার নামে যে কমিটি গঠিত হয়েছে তা জাতির সঙ্গে তামাশা মাত্র। সড়কে বিশৃঙ্খলা এবং মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কত যে পূনরাবৃত্তি হবে তা বলাই বাহুল্য। জনগণের নিকট যখন জবাবদিহিতা থাকে না তখন জনদুর্ভোগ সষ্টিকারীরাই সর্বত্রই বেআইনী কর্তৃত্ব করে। তাদের দ্বারা জনগণ ক্রমাগত প্রতারিত হতে থাকে। মিড নাইট নির্বাচনের পর এটি জনগণের সাথে আরেকটি শ্রেষ্ঠ প্রহসন।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার দেশে আরও তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে। সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হলো- স্বয়ং অর্থমন্ত্রী বলেছেন তিনি এই তিনটি ব্যাংক অনুমোদনের বিষয়টি জানেন না। ব্যাংক লুটের কারণে দেশের ব্যাংকগুলোর যখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা তখন আবারও নতুন করে তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন ব্যাংক লুটের পথকে আরও প্রসারিত করলো। বর্তমানে অনুমোদনকৃত তিনটি ব্যাংকসহ দেশের অধিকাংশ ব্যাংকের মালিকানায় রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা কিংবা তাদের স্বজনরা। যখন পূর্বের ঢালাওভাবে অনুমোদিত ব্যাংকগুলো ধ্বসে পড়েছে তখন আবারও তিনটি ব্যাংকের অনুমোদনে এটি সুষ্পষ্ট যে, জনগণের সর্বশেষ সঞ্চয়টুকু শোষণ করতেই মিড নাইট সরকারের খয়ের খাঁ-দের নতুন তিনটি ব্যাংক দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। জনস্বার্থ, রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি ধ্বংস করে নিশীথ রাতের ভোটে সৃষ্টি আওয়ামী সরকার নিজের আখের গোছাতেই এখন রীতিমতো ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী সরকার নিজেদের স্বার্থে সবকিছুই বিকিয়ে দিতে পারে-সেটি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বই হোক কিংবা জাতীয় অর্থনীতিই হোক। আওয়ামী লীগ একদলীয় একনায়কতন্ত্রের অভিনব উৎস রুপেই বারবার পূণরাবিষ্কৃত হয়েছে।

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯ ৩:০৫ অপরাহ্ণ