জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। ১৫ ওভারেই ৩ ব্যাটসম্যান হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ পাল্টা জবাব দিচ্ছিল ইমরুল-মিঠুনের ব্যাটে। এরপরই বিপর্যয়। এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন ইমরুল, করেছেন সেঞ্চুরি
মাত্র কদিন আগে বাবা হয়েছেন। নিজের প্রথম সন্তানের জন্য সেরা উপহারটা আজ মাঠে দিলেন ইমরুল কায়েস। জীবনের সেরা ইনিংস তো খেললেনই, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে সেরা ইনিংসগুলোরই একটি। দুটি ব্যাটিং বিপর্যয় ১৪০ বলে ১৩টি চার ও ৬ ছক্কায় খেলা ১৪৪ রানের ইনিংসটিকে বাড়তি মাহাত্ম্য দিচ্ছে। ইমরুলের ব্যাটে দুইবার ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিম্বাবুয়েকে রানের কঠিন লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। ১৫ ওভারের মধ্যে নেই ৩ ব্যাটসম্যান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস আজ করেছেন মাত্র ৪ রান। অভিষেকেই শূন্য রানে আউট হয়েছেন ফজলে মাহমুদ। চাতারার জোড়া আঘাতে বাংলাদেশ তখন ১৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। এর পর তৃতীয় উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইমরুল কায়েস ও মুশফিক। শুরুর ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছিল এই জুটি। তখনই ছেড়ে দিলে ওয়াইড হয় লেগ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে চড়াও হতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মুশফিক।
৬৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেটে আরও একটি ভালো জুটি গড়ে তোলে। এই জুটি চড়াও হতে শুরু করেছিল, তখনই দ্বিতীয় বিপর্যয়। ১২.২ ওভারে ৭১ রান তোলার পর মিঠুন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ২ রানের মধ্যে মিঠুনের পথ ধরেন মাহমুদউল্লাহ আর মেহেদী মিরাজও। ৩ উইকেটে ১৩৭ থেকে মুহূর্তেই বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৩৯! বেনেফিট অব ডাউটে সাইফউদ্দিন বেঁচে না গেলে বাংলাদেশের বিপর্যয়টা আরও বড় হতে পারত।
তখনো জিম্বাবুয়ে ভালোমতোই ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতের মুঠোয় পুরে রেখেছে। এরপরই সপ্তম উইকেট জুটিতে ম্যাচটা নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ। ১১৫ বলে ১২৭ রান তোলা সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের এই রেকর্ড জুটি।
অভিষেকে শূন্য রানে ফিরলেন ফজলে।
বাংলাদেশ দল: লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, ফজলে মাহমুদ, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, নাজমুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।