অর্থনীতি ডেস্ক:
২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের উন্নয়নের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরী করতে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)।
বুধবার আইডিইবির ‘২২তম জাতীয় সম্মেলন ও ৪১তম কাউন্সিল অধিবেশন এবং আন্তর্জাতিক সেমিনার ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনোভেশন এক্সপো-১৮’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানায় ডিপ্লোমা প্রকৗশলীদের এ সংগঠনটি। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আইডিইবির সভাপতি একেএমএ হামিদ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মোকাবেলায় বিশ্বমানের টিভিইটি (টেকনিকাল ভোকেশনাল এডুকেশন ট্রেনিং) প্রতিপাদ্যে এবারের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, যেভাবে প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে তা থেকে নিজেদের গুটিয়ে রাখার সুযোগ নেই। প্রযুক্তি ব্যবহার করেই নিজেদের উন্নয়ন করতে হবে।
আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে প্রযুক্তির মাধ্যমেই চতুর্থ শিল্প বিল্পব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা যদি সংস্কার এবং প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার না করা হয় তাহলে আমরা পিছিয়ে পড়বো। বিভিন্ন দেশের কারিগরি শিক্ষার হার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কারিগরি শিক্ষা অন্তত ৫০শতাংশ না হলে আমরা উন্নত হতে পারবো না।
যেসব দেশ উন্নত তাদের কারিগরি শিক্ষার হার নুন্যতম ৫০ শতাংশ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কোয়ালিটি এডুকেশন সিস্টেমের জন্য উন্নত দেশে একটি মানদন্ড আছে। আমরা লিখিত প্রস্তাব (বই) আকারে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবো।
এছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে করণীয় সস্পর্কে সম্মেলনে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, যারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তারা অনেক জিনিস আবিষ্কার করছে। তা সবার সামনে তুলে ধরতে ইনোভেশন এক্সপো-১৮ এর আয়োজন করেছি আমরা। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তা উদ্বোধন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আইডিইবির সহ সভাপতি একেএম আব্দুল মোতালেব, প্রচার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মিডিয়া উইংয়ের সদস্য ইয়াছিন রানা ও আকতার হোসেন প্রমুখ।