আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা শেষ প্রদেশ ইদলিবে হামলা শুরু করেছে সরকারি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১০ নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার এ হামলায় যুদ্ধবিমান ব্যবহৃত হয়। হামলায় কিছু বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ হামলার পর সিরিয়া সরকার বিদ্রোহীদের ওপর সর্বত্র আগ্রাসী হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইদলিব প্রদেশে প্রায় ৩০ লাখ লোক বসবাস করছে। এদের মধ্যে অনেক বিদ্রোহী ও বেসামরিক লোক অন্যত্র যুদ্ধ এড়াতে ইদলিবে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধে বহু বেসামরিক নিহত ও ব্যাপক রক্তপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিমান হামলার আগেই জাতিসংঘ রাশিয়া ও তুরস্ককে ওই এলাকায় ‘রক্তস্নান এড়াতে’ কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।
মঙ্গলবার সকালে সিরিয়া ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমান প্রায় ২৪ বার ইদলিবে রেইড দেয়। এই বিমান থেকে ইদলিবের পশ্চিম প্রান্তের শহর জিসর আল-শুঘোর ও এর আশপাশের শহর-গ্রামকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী এই হামলা চলার পর সকাল ৭টার দিকে বন্ধ হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, বিমান হামলায় ১০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০ জন। তবে অন্য একটি সূত্রের দাবি, বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৭।
এর আগে সোমবার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিবে নির্বিচার আক্রমণ করার ব্যাপারে সিরিয়া সরকার এবং তাদের মৈত্রী রাশিয়া ও ইরানকে সতর্ক করে দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে জানান, ইদলিবে নির্বিচার আক্রমণে ‘বড় ধরনের মানবিক ভুল’ হতে পারে, যাতে হাজার হাজার মানুষ মারা যেতে পারে।
সিরিয়ার অধিকাংশ অংশের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর এখন ইদলিবই বিদ্রোহীদের এক মাত্র ঘাঁটি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সোমবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, সিরিয়া সরকার কিংবা এর যেকোনো মৈত্রীর রাসায়নিক আক্রমণের জবাব যুক্তরাষ্ট্র দেবে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘ইদলিবে আসাদ, রাশিয়া ও ইরানের সব কর্মকাণ্ডে চোখ রাখা হবে।’ নিকি হ্যালির টুইটার বার্তায় হ্যাশট্যাগে বলা হয় ‘নো কেমিক্যাল ওয়েপন্স’ অর্থাৎ ‘কোনো রাসায়নিক অস্ত্র নয়’।