২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:১৪

জলকাদায় জুতসই জুতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক:
পায়ের তলায় সর্ষে পড়ুক আর না পড়ুক পথ তো চলতেই হয়। তবে বৃষ্টি-কাদার দিনে পথে পা ফেলতে হয় সাবধানে। নইলে পা ফসকে আলুর দম! আবার পা না ফসকালেও পায়ের জুতা, স্যান্ডেলের দিকেও নজর রাখা জরুরি। ঢাকা শহর তো বটেই, দেশের অন্যান্য জায়গাতেও বৃষ্টি পড়লে কাদাপানি হতে পারে। তাই এই সময়ে বাইরে যাওয়ার আগে বৃষ্টির সঙ্গে মানানসই জুতা বেছে নেওয়া ভালো।

যেমন জুতা এই সময়ে
কাপড়ের জুতাকে এই দুই মাস ‘বাই বাই’ বলে দিন। কেউ কেউ এড়িয়ে চলেন চামড়ার জুতাও। এর বদলে প্লাস্টিক বা রাবারের জুতা বাছাই করেন অনেকে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সবুর আহমেদ বলেন, ‘এই সময়ে রেক্সিনের চেয়ে চামড়ার জুতা পরাই ভালো। কারণ চামড়ার জুতা পা বেশি সুরক্ষিত রাখে। তবে বর্ষায় চামড়ার জুতা ব্যবহারের পর সেটা অবশ্যই আলো-বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় রাখতে হবে। পরার আগে জুতা পালিশ করে নিতে হবে। যাতে ছত্রাকের আক্রমণ না হয়।’

আর হ্যাঁ, এই সময়ে কিছুটা ‘হাই-নেক’ জুতা বেছে নিলে ভালো। বিশেষ করে ফ্যাশন-সচেতন তরুণেরা। স্টাইলের পাশাপাশি এই জুতার সুবিধা হলো কাদাপানি পায়ে লাগবে কম। আর মোজা নষ্ট হওয়ার ভয় থাকবে না।

জুতা বাছাই করার ক্ষেত্রে আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে পারেন—যে জুতার সামনের দিকে স্টাইল করে সেলাই দেওয়া থাকে, তেমনটা ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ, পথ ভেজা থাকলে এমন জুতার ভেতর দিয়ে পানি চুইয়ে ভেতরে চলে যায়।

চটপট স্যান্ডেল
অনেকে জুতার চেয়ে স্যান্ডেলে স্বচ্ছন্দ্য। তবে এই মৌসুমে দুই ফিতার স্যান্ডেল পরে বাইরে যাবেন না। হাঁটার সময় চটপট করে কাদা ছিটে আপনার পেছন দিক নোংরা করে দেবে। তাই পেছন দিকে ফিতাযুক্ত স্যান্ডেল বেছে নিতে পারেন। যাতে গোড়ালির সঙ্গে স্যান্ডেলের আঘাত লেগে কাদা না ছড়ায়। চারদিকে ফিতায় ঘেরা নানা স্টাইলের ফ্যাশনেবল স্যান্ডেল আছে বাজারে। সেখান থেকে আপনার পছন্দমতো বেছে নিতে পারেন। অনেক স্যান্ডেল আবার পেছনের অংশে ঘেরা থাকে সেটাও ভালো দেখাবে ক্যাজুয়াল পোশাকের সঙ্গে।

বাটার পুরুষ বিভাগের পণ্য উন্নয়ন প্রধান মো. রেজাউল হায়দার বলেন, এই মৌসুমে জুতা বাছাই করতে হবে পোশাকের ধরন মাথায় রেখে। সিনথেটিক উপাদানের জুতা না পরাই ভালো হবে। ক্যাজুয়াল পোশাকের সঙ্গে স্নিকার বা স্পোর্টস শু পরা যায়। যাতে সহজেই ধোয়া যাবে। আবার অফিসে যাওয়ার জন্য বেছে নিতে পারেন ড্রেস শু।
অফিসের জন্য পানিরোধী জুতা বেছে নিতে পারেন। এসব জুতায় ব্যবহার করা হয় পিউ আউটসোল। যাতে নিচের দিক দিয়ে পানি ভেতরে না ঢোকে। আবার জুতার ওপরের অংশে স্বচ্ছ আস্তর (কোটিং) দেওয়া থাকে, যাতে পানি পড়লে জুতায় না লেগে সহজেই গড়িয়ে পড়ে যাবে।

খেয়াল রাখুন
জুতা পরার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে পারেন। জুতার ডিজাইনারদের সঙ্গে কথা বলে এখানে তেমনই কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো—
● বর্ষার জন্য জুতার সোলে (নিচের অংশ) থার্মোপ্লাস্টিক রাবার হলে ভালো। নতুন জুতা কেনার আগে সেটা মাথায় রেখে কিনুন।
● জুতার সোলের নকশা যেন এমন হয় যাতে চারকোনা খোলা থাকে। এতে কাদা ছিটে ওপরে উঠবে না।
● এমন জুতা পরতে হবে যাতে পায়ের চেয়ে বড় না হয়। বড় হলে কাদা ছিটবে।
● ভেজা জুতা বেশিক্ষণ পায়ে রাখা যাবে না। এতে পায়ে চর্মরোগের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
● বাইরে থেকে এসে জুতার মধ্যেই মোজা না রেখে বাতাসে শুকিয়ে নিন।

প্রকাশ :আগস্ট ৮, ২০১৮ ৪:০৫ অপরাহ্ণ