২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:১৭

আসামে নাগরিকত্ব তালিকা থেকে বাদ ৪০ লাখ মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের আসামের বহুল আলোচিত জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ বা ‘এনআরসি’-এর খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে। অাসামের প্রায় ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ দিয়েছে প্রদেশের সরকার। খবর এনডিটিভির

ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অব সিটিজেন বা এনআরসি এই তালিকা তৈরি করেছে। ১৯৫১ সালের পর এই প্রথম তৈরি হল খসড়া তালিকা। বাংলাদেশ থেকে কতো মানুষ বেআইনিভাবে আসামে বসবাস করছে সেটা জানতেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

তবে প্রশাসন জানিয়েছে, এটি একটি খসড়া তালিকা মাত্র। এর ভিত্তিতে কাউকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে না। পড়তে হবে না কোনও শাস্তির মুখেও।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যেন্দ্র গর্গ জানিয়েছেন, এই তালিকার ভিত্তিতে কারও বিরুদ্ধে মামলা শুরু হবে না। কাউকে কোনও ট্রাইবুনালের মুখোমুখিও হতে হবে না।

প্রথম থেকেই বিভিন্ন মহলের দাবি, বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে আসা মানুষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নাম করে আসলে মুসলমানদের টার্গেট করা হচ্ছে। এই তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর সেই জল্পনা আরও বেড়েছে। এই তালিকাকে কেন্দ্র করে আসাম জুড়ে অশান্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আর তাই নিরাপত্তা আগে থেকে জোরদার করে রাখা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

এনআরসিতে নাম তালিকাভুক্ত করতে আসামের মোট ৩ কোটি ২৯ লাখ মানুষ আবেদন করেন। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ কোটি ৯০ লাখ নাম ঠাঁই পায় এনআরসিতে। আজ প্রকাশ হল দ্বিতীয় দফার তালিকা।

যারা এনআরসি’র তালিকাভুক্ত হতে পারেন নি তাদের অনেকেই মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর বা ত্রিপুরার মতো আশেপাশের রাজ্যগুলোতে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এনআরসি রিপোর্ট অনুসারে, আসামে ৩০ লাখের বেশি মানুষ বাংলাদেশ থেকে সেখানে যান। বংশগতভাবে তারা আসামে বসবাস করছেন।

১৯৫১ সালে প্রথম এনআরসি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এই রিপোর্ট অনুসারে পরবর্তী সময়ে দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নাম নথিভুক্ত করা হয়। এ ব্যাপারে তাদেরকে সবরকম তথ্যপ্রমাণ দেখাতে হয়েছে। ওইসব তথ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হল।

প্রকাশ :জুলাই ৩০, ২০১৮ ৫:০৮ অপরাহ্ণ