২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:৫৮

পরিবেশ রক্ষায় চিনিকলে বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পরিবেশ দূষণ রোধে এবার দেশের সব চিনিকলে বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। এর আগে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন (বিএসএফআইসি) দেশের সব চিনিকলে পরিবেশ রক্ষার্থে ইটিপি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ২০১১ সালে নিজস্ব অর্থায়নে নাটোর চিনিকলে ইটিপি স্থাপন করা হয়। এখন বাকি ১৪টি চিনিকলে ইটিপি স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। সরকারের সম্পূর্ণ অর্থায়নে এতে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ৮৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।

আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্প অনুমোদন হতে পারে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

একইসঙ্গে পানিতে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী হাইড্রোজেন সালফাইড নিঃসৃত হয়। এতে আয়রন ও অন্যান্য ডিসলভড সল্টের মাধ্যমে পানি কালোবর্ণ হয় এবং জলজ জীবসহ গৃহস্থালী কাজে ও পানীয় হিসেবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে চিনিকল এলাকার জলাশয়, ফসলি জমি, স্বাস্থ্য, কৃষি ও পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়।

দেশের চিনিকলগুলোতে গড়ে প্রতি মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের সাথে ৩০-৪০ হাজার লিটার বর্জ্য নির্গত হয়। এই বর্জ্য পরিশোধন করে পরিশোধিত পানি ইরিগেশন ও কারখানায় ব্যবহারের ফলে পরিবেশ সুরক্ষাসহ ভূগর্ভে পানি ক্রমহ্রাসমান স্তর রক্ষা হবে। এ বিবেচনায় চিনিকলে ইটিপি স্থাপন অতীব জরুরি। এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-১৯৯৭ অনুসারে চিনিকল ও ডিস্টিলারিকে রেড ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং চিনিকলে ইটিপি স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে চিনিকল সংলগ্ন এলাকার মানুষ ও জীব বৈচিত্র্যের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা সহজ হবে। এছাড়া জলজ ও বায়ুমণ্ডলের ইকো-সিস্টেমকে রক্ষা করা; চিনিকল সংলগ্ন এলাকার পরিবেশকে কারখানা বর্জ্যের যেকোনো প্রকার অবাঞ্চিত দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা করা; চিনিকল সংলগ্ন কৃষিজমি, জলাশয় ও সেচের পানিকে কারখানার বর্জ্যে নির্গত যেকোনো প্রকার ভারী বা কাদা জাতীয় পদার্থ থেকে রক্ষা করা যাবে।

এ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়, মাইক্রোব সুবিধাদি উন্নয়ন ও অন্যান্য কেমিক্যালস; ইটিপি প্লান্টের পূর্ত কাজ (ভূমি উন্নয়ন, ফাউন্ডেশন কাজ, ড্রেনেজ, ফিলট্রেশন ট্যাংক, লেগুন, সেডিমেন্টেশন ট্যাংক, অক্সিডাইজেশন চেম্বার, আরসিসি কাজ ইত্যাদি); অফিস ও ল্যাব ভবন; ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ডিজাইন; ইরেকশন অ্যান্ড ইনস্টলেশন; যানবাহন ক্রয় (১টি জিপ) করা হবে।

দৈনিক দেশজন /এন এইচ

প্রকাশ :মে ২২, ২০১৮ ২:২০ অপরাহ্ণ