সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই যমুনা নদীর ৫টি পয়েন্টে ভয়াবহ আকারে নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি নৌবন্দরগামী ইউরিয়া সার, জ্বালানী তেল ও কয়লাবাহী ১৩০টি কার্গো জাহাজ গোয়ালন্দ পাটুরিয়া ও দৌলদিয়া পয়েন্টে গত ১ সপ্তাহ ধরে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। লাইটারেজের মাধ্যমে প্রতিদিন ২/৩টি করে জাহাজ বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে পৌঁছালেও তা চাহিদার তুলনায় তা হবে নগণ্য। এতে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব মান্টার জানান, মোল্লার চর, ব্যাটারির চর, মোহনগঞ্জ, কৈটোলা ও চর পেচাকোলা রুটে জাহাজ চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আব্দুল ওহাব মান্টার আরো বলেন, উত্তরাঞ্চেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ নৌ-চ্যানেলটি সচল রাখতে বিআইডাব্লিউটির চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেও যথা সময়ে এ নৌ-চ্যানেলে ড্রেজিং শুরু না করায় বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে শাহজাদপুর সহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার কৃষিকার্য। বিশেষ করে চলতি সেচ মৌসুমে ইরি-বোরোর আবাদে প্রয়োজনীয় ডিজেল তেল ও ইউরিয়া সারের চাহিদা পূরণে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কথা হয় বাঘাবাড়ি পোর্ট অফিসার সাজ্জাদ হোসেনের সাথে তিনি বলেন, ড্রেজিং এর কাজ চলছে ২/৪ দিনের মধ্যে এ সমস্যার সমাধাণ হয়ে যাবে। বাঘাবাড়ি বন্দরের বাফার গুদামের ইনচার্জ সোলায়মান হোসেন বলেন, নাব্যতা সংকটে বাঘাবাড়ি বন্দরে জাহাজ আসতে পারছে না ঠিকই। আগের মজুদ থেকে সার সরবরাহ অব্যহত থাকায় এখনো এ অঞ্চলে সারের কোন সংকট দেখা দেয়নি বলে জানান তিনি। এদিকে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের লেবার এজেন্ট আবুল হোসেন ও আব্দুল মজিদ বলেন, নাব্যতা সংকটের কারণে গত দেড় মাস ধরে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে সরাসরি কোন সারবাহী জাহাজ ভিড়তে পাড়ছেনা। ফলে বন্দরের
স্বাভাবিক কাজ কর্ম ২/৩ গুণ কমে গেছে। এতে লেবাররা চরম আর্থিক লোকশানে পড়েছে। লেবার সরদার লুৎফর রহমান বলেন, বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে জাহাজ ভিড়তে না পাড়ায় তাদের ৫/৭‘শ শ্রমিক কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছে। এ মৌসুমে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর ঘাটে প্রতিদিন ১২‘শ থেকে ১৩‘শ শ্রমিক কাজ করতো। এখন মাত্র আড়াই‘শ থেকে ৩‘শ শ্রমিক কাজ করছে। জাহাজ না ভিরতে পারায় বেকার বসে থাকা শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি