২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৫:০৪

লোহাগাড়ার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় এক আসামিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেয়ার ঘটনায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহানকে প্রত্যাহরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং দুজন উপ-পরিদর্শকসহ মোট চারজনকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তলবকৃতদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট মতিন খসরু। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ফারজানা শারমিন ও আইনজীবী মোকবুল আহমেদ।

মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালত ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তলবকৃত চারজনকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তবে রুল শুনানি চলবে। মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর গাঁজাসহ হাতেনাতে ধরার অভিযোগে চট্টগ্রামের লোহাগড়া আধুনগরের বাসিন্দা মো. বেলাল হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত আট মাসের সাজা দেয়। তারা সাজা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এছাড়াও ওই মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাদীকে কেন ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পাঁচ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। সেই সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মনজিল মোরসেদ এই রিট আবেদন করেন।

মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের ১৩ অক্টোবর রাতে বেলালকে গ্রেপ্তার করে পরদিন তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু গত ১৪ অক্টোবর মোবাইল কোর্টের এক আদেশে দেখানো হয়, বেলা ১২টা ১০ মিনিটে বেলালকে তার গ্রামের বাড়ির সামনে থেকে দুই পুড়িয়া গাঁজাসহ হাতেনাতে ধরা হয়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের জব্দ তালিকায় তারিখ বলা হয় ১৩ অক্টোবর রাত ৯টা ৫মিনিট।

তিনি বলেন, এতে স্পষ্ট হয়েছে যে, পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল কোর্ট স্থাপন করে বাদীকে সাজা দেওয়া হয়েছে, যা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থি। মোবাইল কোর্ট বসিয়ে সাজা দেওয়ার ঘটনায় গত ১৪ জানুয়ারি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও দুজন উপ-পরিদর্শকসহ মোট চারজনকে আদালতে তলব করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার এবং আজ  তারা আদালতে উপস্থিত হন।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :জানুয়ারি ২৯, ২০১৮ ১:০৪ অপরাহ্ণ