২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:১৭

আগামী নির্বাচন তারা বিএনপিকে বাদ দিয়ে করতে চান : মির্জা ফরুখল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো রায়টা পাইনি। আইনগতভাবে, নীতিগতভাবে রায় ঘোষণা হওয়ার আগে পর্যন্ত আমরা রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া, সেভাবে বলতে পারব না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এনিয়ে আজকে কথা বলেছেন। একথা বলা কোনো মতেই সঙ্গত নয়।’

‘তিনি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন যা দিয়ে তিনি গোটা আইনশৃঙ্খলা পরিবেশকে…। এ থেকে এটা পরিষ্কার বুঝা যায় যে, তারা কী চিন্তা করছেন’ যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

শুক্রবার বিকেলে সদ্য প্রয়াত ঔপন্যাসিক শওকত আলীর বাসায় তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায় দ্রুততার সঙ্গে করানো হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফরুখল বলেন, ‘নজিরবিহীন তাড়াহুড়ার মধ্যদিয়ে দ্রুততার সঙ্গে এই মামলা শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে। নেত্রীর আইনজীবীরা পরিষ্কার করে বলেছেন- জাস্টিস হারিড জাস্টিস বারিড। কারণ তারা (ক্ষমতাসীন) কর্ণপাত করছেন না।’

‘তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে, আগামী নির্বাচন তারা বিএনপিকে বাদ দিয়ে করতে চান। সেজন্যই তাড়াহুড়া করে বিচারকাজ শেষ করা এবং এ সমস্ত কমেন্ট (মন্তব্য) করা। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করিনি। তাহলে কোথায় যাবেন?’ প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনেকদিন আগে থেকেই সরকারের লোকজন এই মামলা নিয়ে আগাম বক্তব্য দেয়া শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বহু আগেই রায় দিয়ে দিয়েছেন। নিশ্চয় মনে আছে- অনেক আগেই তিনি বলে দিয়েছিলেন এতিমের টাকার ব্যাপারে। অন্যান্য মন্ত্রীরা বলছেন। তারা প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি ক্ষণ হুমকি দিয়েছেন, বলপ্রয়োগ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে এরশাদ সাহেব রংপুরে বলেছেন- আর মাত্র কয়েকদিন তারপর যেতে হবে জেলে। তার দলের একজন প্রতিমন্ত্রীও একই  কথা বলেছেন। রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের এধরনের কথা দিয়ে এটাই প্রমাণিত হয়- এটা পূর্বনির্ধারিত, পরিকল্পিত। দে আর প্রিপায়ার্ড ফর এভরি থিং (তারা সবকিছুর জন্য প্রস্তুত)।’

এসময় কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক শওকত আলীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন মির্জা ফখরুল। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

এরআগে রাজধানীর টিকাটুলীর কে এম দাশ লেনের ‘বিরতি ভিলা’ বাসায় গিয়ে প্রয়াত ঔপন্যাসিক শওকত আলীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মির্জা ফখরুল।

এসময় শওকত আলীর বড় ছেলে আসিফ শওকত কল্লোল, তার স্ত্রী ফারজানা আফরোজ পারুলসহ আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিবারের খোঁজ-খবর নেন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে কথাসাহিত্যিক শওকত আলী (৮২) মারা যান। তাকে গত রাতেই জুরাইনে গোরস্তানে স্ত্রী শওকত আরার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জানুয়ারি ২৬, ২০১৮ ৯:১৬ অপরাহ্ণ