নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ১০৯ কন্টেইনার পচনশীল পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চারদিনের ধ্বংস কার্যক্রম শুরু হবে আগামী সোমবার থেকে।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ওইসব কন্টেইনারে রয়েছে কয়েকশ কোটি টাকার কমলা, আপেল, আঙ্গুর, মাছ, রসুন এবং পেঁয়াজ। আমদানিকারা এসব পণ্য ছাড় করেনি। ইতোমধ্যে এসব পণ্য খাবার অনুপযোগী হয়ে গেছে। পচা, নষ্ট ও দুর্গন্ধযুক্ত এসব জিনিস পরিবেশেরও ক্ষতি করছে। ধ্বংস করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব সরকারি বিভাগের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
জানা যায়, শিপিং এজেন্টরা দীর্ঘদিন ধরে আহ্বান জানিয়ে আসছে নিলামযোগ্য এসব পণ্যের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়ে তাদের কন্টেইনারগুলো খালি করে দেয়ার জন্য। কিন্তু বিভিন্ন কারণে যথাসময়ে এ ব্যাপারে কার্যক্রম গ্রহণ সম্ভব হয়নি। বর্তমান কমিশনার অব কাস্টমস ড. এ কে এম নুরুজ্জামান দায়িত্বভার নেয়ার পর থেকে সমস্যাটি বেশ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেয়া হয়। এনবিআর থেকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে সহকারী কমিশনার মিয়া মো. নাজমুল হক জানিয়েছেন, আগামী সোমবার থেকে ৪দিন ধরে চলবে ধ্বংস কার্যক্রম। ৬৮টি লটে ১০৯টি কন্টেইনারভর্তি পণ্য এই সময়ে পর্যায়ক্রমে ধ্বংস করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টায় হালিশহরে তা শুরু হবে। কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্সের ১১টি, মার্সক বাংলাদেশ লিমিটেডের ৬৬টি, কে লাইন বাংলাদেশ লিমিটেডের ১২টি, এপিএল বাংলাদেশ লিমিটেডের ৮টি, ইয়াংমিন লাইন্সের ৩টি, ইন্টারমডাল প্রাইভেট লিমিটেডের ২টি এবং পিআইএল বাংলাদেশ লিমিটেডের ৭টি কন্টেইনারভর্তি পণ্য এই কার্যকমের আওতায় ধ্বংস করা হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ