নিজস্ব প্রতিবেদক:
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে (বৃহস্পতিবার) সূচকের ইতিবাচক প্রবণতায় শেষ হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন। দিনশেষে ডিএসই’র প্রধান মূল্য সূচক ৪৬ পয়েন্ট বাড়লেও লেনদেন কমেছে প্রায় ১৪৬ কোটি টাকা। এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ও লেনদেন উভয় বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই’র বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭২টির, কমেছে ৯০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির প্রতিষ্ঠানের দর। এসময় ডিএসইতে ১৯ কোটি ২৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮২৭ টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এদিন ডিএসইতে টাকা অংকে লেনদেন হয়েছে ৭৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮৮৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৪৬ কোটি টাকা। এসময় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে দাড়িয়েছে ৬২৮২ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১৩৭৫ এবং ২২৭৯ পয়েন্টয়ে স্থিতি পেয়েছে।
লেনদেন শেষে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির ৫৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মার ২৯কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে টার্নওভারের তৃতীয় অবস্থানে ছিল গ্রামীনফোন।
টার্নওভার তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- সিটি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার, ঢাকা ব্যাংক ও জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড। এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৪৬৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ১২ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১৩৪, সিএসসিএক্স ৮৪ পয়েন্ট এবং সিএসআই ৭ পয়েন্ট বেড়ে দাড়িয়েছে যথাক্রমে ১৪৮৪, ১৭৫৭৬, ১১৭৮৩ এবং ১২৫০ পয়েন্টে।
সিএসইতে ৬১ কোটি ২১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ৭ কোটি টাকা বেশি। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৯টির, কমেছে ৬৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দর।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ