২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:৩৫

সেনাবাহিনীর অপকর্মের সমর্থনে মিয়ানমারে সমাবেশ

দৈনিক দেশজনতা অনলাইন ডেস্ক:  

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মুসলমান রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী যে বর্বর সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে তাকে মানবতাবিরোধী এবং জাতিগত নিধন অভিযান হিসেবে অভিহিত করেছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এমনকি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলে। বিষয়টি নিয়ে দেশটির তথাকথিত বেসামরিক সরকার ব্যাপক সমালোচনা ও চাপের মধ্যে রয়েছে।

কিন্তু তারপরও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওই কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে মিছিল ও সমাবেশ করেছে দেশটির সেনা সমর্থক ও জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। রোববার দেশটির সাবেক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে দুই হাজারের বেশি মানুষ ওই বিক্ষোভে অংশ নেয়। যার মধ্যে বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী ও ভিক্ষুরাও ছিল। বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ফার্স্টপোস্টের খবরে সোমবার এ কথা বলা হয়েছে। মিছিলে জাগারা নামের এক প্রবীণ বৌদ্ধ ভিক্ষু বলেন, ‘আমি আপনাদের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করার আহ্বান জানাচ্ছি। একমাত্র সেনাবাহিনী শক্তিশালী হলেই আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে শুরু হওয়া সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধদের সহিংস হামলার শিকার হয়ে এ পর্যন্ত ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। যে অল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা মুসলমান দেশটিতে অবশিষ্ট আছে তাদের ওপরও নানা দমনপীড়ন চলছে। এসব নিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও দেশটির নেত্রী অং সান সু চির সরকার যখন সমালোচনার মুখে তখন এ ধরনের মিছিল-সমাবেশের আয়োজন করা হলো। সমাবেশে রোহিঙ্গাদের উল্লেখ করে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নিয়ুন্ত ই বলেন, একমাত্র সেনাবাহিনীই জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা ও অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে পারে। ৭০ বছর বয়সী ই ৪০ বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন।

উল্লেখ্য, বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের দাবি, রোহিঙ্গা মুসলমানরা পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ থেকে গিয়ে রাখাইন রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু তারা এর স্বপক্ষে আজ পর্যন্ত কোনো দলিল দেখাতে পারেনি। বরং রোহিঙ্গারা যে সেখানে যুগ যুগ ধরে বাস করে আসছে তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :অক্টোবর ৩০, ২০১৭ ১১:২২ পূর্বাহ্ণ