নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার পর প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকের ভুলক্রটি সংশোধন করা হচ্ছে। বিতর্কিত বিষয়গুলো ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের নতুন বইয়ে সংশোধনী এনে ছাপানো হচ্ছে বলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রাথমিকের পাঠ্যবই থেকে গাছে ওঠানো ছাগলকে মাটিতে নামানো হচ্ছে। ‘ও’-তে ওড়নার’ বদলে ‘ওজন’ ও ছবি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
তৃতীয় শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ে কুসুম কুমারী দাশের ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতার বিকৃত করা লাইনগুলোও শুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়া পঞ্চম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ে সমুদ থেকে সমুদ্র, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ে ‘ঘোষণা’ থেকে ‘ঘোষণা’, তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ে ‘সায়েরা বেগম’ থেকে ‘সায়েরা খাতুন’, হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা (ইংরেজি ভার্সন) বইয়ের পিছনের কভার পেজে Heart থেকে Hurt এবং প্রথম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ে ‘মৌ’ থেকে ‘মউ’ করা হচ্ছে।
এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) ড. মিয়া ইনামুল হক সিদ্দিকী জাগো নিউজকে বলেন, পাঠ্যপুস্তকের যেসব বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল তা আগামী শিক্ষাবর্ষের বইয়ে সংশোধন করা হচ্ছে। এ ছাড়া পাঠ্যপুস্তকের সব বানান ভুল ও অসঙ্গতিগুলোও পরিমার্জন করা হয়েছে।
অন্যদিকে মাধ্যমিকের ১২টি বই নির্ভুল ও সহজ করা হচ্ছে, যার মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বই থেকে হেফাজতে ইসলামের দাবি অনুযায়ী বাদ দেয়া বিষয়গুলো ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। ইতোমধ্যে ওই কমিটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে।
তবে সূত্র জানায়, হেফাজত ইসলামের দাবি পাঠ্যপুস্তকে যা যুক্ত করা হয়েছে তা পরিবর্তন আনা হচ্ছে না। এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এনসিটিবি চাইলেই তা সংশোধন করতে পারবে না।
এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, নির্ধারিত তালিকার বাইরে পাঠ্যপুস্তকে বড় পরিবর্তন হচ্ছে না। তবে বিষয়টি মাথায় রেখে ভবিষ্যতে আরও পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে তিনি জানান।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ