২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:০৪

নরখাদকের ভয় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে দ,আফ্রিকার নাটাল প্রদেশে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নরখাদকের ভয় এখন তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাওয়া জুলু নাটাল প্রদেশের শ্যামইয়া গ্রামে। গত জুলাই মাসে এই গ্রামের বাসিন্দা জানিলি নিখোঁজ হয়েছিল। তার পরিবারের ধারণা, সে নরখাদকদের পাল্লায় পড়েছিল। জানিলির পরিবার হয়তো ধরেই নিয়েছিল সে নিখোঁজ। কিন্তু নরখাদকদের হাতে জানিলির মৃত্যু এমন কথা তারা ভাবতেই পারেননি।

এ ঘটনার মোড় ঘুরে যায় গত সপ্তাহে। ওই এলাকার এক বাসিন্দা স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে এসে বলে মানুষের মাংস খেতে-খেতে সে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু ওই ব্যক্তির কথা পুলিশ প্রথমে মোটেও আমলে নেয়নি। একবিংশ শতাব্দীতে নরখাদক থাকতে পারে সেটি তাদের ধারণাই ছিল না।

ওই ব্যক্তি কথার প্রমাণ হিসেবে মানুষের একটি রক্তাক্ত হাত ও একটি পা দেখায়। তারপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর কয়েকদিন পরেই জানিলির বিকৃত মরদেহের সন্ধান মেলে। জানিলির মৃত্যু কতটা নির্মম ও ভয়ঙ্কর হয়েছিল সে বিষয়টি ভাবতে শিউরে উঠছে তার পরিবার।

জানিলির উদ্ধার করা মরদেহ দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে নিজেকে রক্ষার জন্য সে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে।

যে নরখাদকটি পুলিশের কাছে আত্নসমর্পন করেছিল সে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতো। বাড়ির মালিক ফিলানি মুগাবেন বলছেন, নরখাদকের বিষয়টি বিশ্বাস করতে তার কষ্ট হচ্ছে।

এদিকে নরখাদকের এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়টি অনেকের কাছে রূপকথার গল্পের মতো মনে হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে যে নরখাদকের অস্তিত্ব থাকতে পারে- এমন কথা ভাবতেই পারেন না স্থানীয় মানুষজন।

আদালত সূত্র জানায়, নরখাদক হিসেবে সন্দেহভাজন পাঁচ ব্যক্তিকে গতকাল সোমবার আদালতে হাজির করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ষড়যন্ত্র এবং মানব দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রাখার অভিযোগ আনা হয়।

সূত্র আরো জানায়, আদালতের বাইরে অপেক্ষমাণ মানুষ যখন জানতে পারে, সন্দেহভাজন নরখাদকদের জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে রাখা হবে, তখন মানুষজন উল্লাস করে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :আগস্ট ২৯, ২০১৭ ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ