নিজেস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ইছামতি নদীর ভাঙ্গাভিটা এলাকায় প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বালু লুণ্ঠন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এতে পার্শ্ববর্তী বসতবাড়ি ও শত শত একর আবাদী কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। চক্রটির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ঐ এলাকার কৃষি জমির মালিকরা। আর প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খোলার সাহস পর্যন্ত পাচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা মো. মুরাদ মিয়ার নেতৃত্বে একদল প্রভাবশালী লোক সরকারি আইনকে বৃদ্ধাআঙ্গুলি প্রদর্শন করে গত ৫দিন যাবত অবাধে বালু উত্তোলন করে চলছে। শত শত বিঘা কৃষি জমির মাটি কেটে পুকুর বানাচ্ছে ঐ চক্রটি। ফলে আশপাশে জমির খনিজ গুণ ও উবর্রতা কমে যাচ্ছে। এতে একদিকে যেমন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমিও। এমতাবস্থায় পার্শ্ববর্তী বসতবাড়ি ও শত শত একর আবাদী কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। চক্রটির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ঐ এলাকার জমির মালিকরা।ভাঙ্গাভিটা গ্রামের কৃষক পরিতোষ বাবু বলেন, কোনো কালেও আমাদের এই এলাকায় বালু মহল ছিলো না। মুরাদ মিয়া ফসলি জমির ধারে ১৬ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের লোহার পাইপ দিয়ে ১শ’ ২০ ফুট গভীর থেকে বালু উত্তোলন করতে পারে এমন দুইটি বড় ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। সিফাত ও হাজী সামাদ নামের দুটি বালু কাটার মেশিন প্রতিদিন শতাধিক বাল্কহেডের বালু লোড দিচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা পবিত্র কুমার জানায়, এভাবে দিনরাত বালু উত্তোলণ চলতে থাকলে ১কি.মি. দূরের ফসলি জমিও দেবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি জমি হারাবো এমন আশংকা করছি আমরা। এ চক্রের ক্ষমতা আর টাকার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি আমরা। এব্যাপারে মুরাদ মিয়া বালু উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে বালু কাটছি। এবিষয়ে স্থানীয় উপজেলা ও থানা প্রশাসনকেও জানানো আছে। নবাবগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। নবাবগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলছি। ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
দৈনিক দেশজনতা / আই র্সি