২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:৫১

যমুনার পানি বিপদসীমার ২৬ সে.মি. ওপরে, দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিরাজগঞ্জে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার ৫টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সেইসাথে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন।

গতকাল শনিবার বিকেলে শাহজাদপুর উপজেলার চর কৈজুড়ী গ্রামের শান্তনা (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কাজিপুর উপজেলার ঢেকুরিয়া হাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বিলচতল, ঢেকুরিয়া, শ্রীপুর, সুতানারা, মল্লিকপাড়া, বদুয়ারপাড়া, দাদবোরা, খিরাইকান্দি, খাসরাজবাড়ি, ভেটুয়া, বাশজান, ভাঙ্গারছেও গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

নাটুয়ারপাড়া চরের পূর্বপাশের বাড়িঘর ভাঙনের কবলে পড়েছে। লোকজন তাদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। খাসরাজবাড়ি, জজিরা, মল্লিকপাড়া, মাজনাবাড়ি চরের মানুষ ভাঙনের শিকার হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

এদিকে প্রায় ৮০ লাখ টাকা খরচ করে সাধারন জনগণের নির্মাণ করা মনসুর নগর ইউনিয়নের মাজনাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি চরম হুমকির মুখে পড়েছে। ১ হাজার ৯শ ফুট দৈর্ঘ্যের এই বাঁধটি ভাঙলে প্রায় দেড় হাজার বসতবাড়ি মুহূর্তে বিলীন হয়ে যাবে বলে জানান ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রাজমহর।

মাজনাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন জানান, এই বাঁধের ফলে স্কুলসহ অনেক স্থাপনা বন্যা-ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে। ফলে বাধটি নির্মাণে সরকারি সহায়তা জরুরি। এছাড়া বন্যায় চরাঞ্চলের নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তায় ধস নেমেছে। নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :জুলাই ৯, ২০১৭ ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ