১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ইং | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:৩৯

রমজানে সচল ও কর্মক্ষম থাকার জন্য ফিটনেস-ব্যায়াম

লাইফ স্টাইল ডেস্ক:

ফিট থাকতে আমরা সবাই চাই। ফিট থাকার জন্য দরকার মন প্রফুল্ল রাখা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ও নিয়মিত হাঁটা-চলা করা। রমজানেও সচল ও কর্মক্ষম থাকার জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম ও নিয়মাবলী জানা দরকার।

তারাবির নামাজ আদায় প্রসঙ্গে:

এ মাসে যেহেতু ২০ রাকাত তারাবি নামাজ পড়তে হয় তাই নামাজের আগে হালকা স্ট্রেচিং করে নেয়া ভালো। এতে নামাজে উঠা-বসায় কোমর বা হাঁটু ব্যথা হওয়ার আশংকা কমে যায়। যারা আগে থেকেই ব্যথার জন্য চেয়ারে বসে নামাজ পড়ছেন তারা ফরজ নামাজ স্বাভাবিক নিয়মে ও অন্য নামাজ চেয়ারে বসে করতে পারেন।জেনে রাখবেন তারাবির নামাজ আদায় এ সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যায়াম। এতে শরীরের সবক’টি জয়েন্ট ও মাংসপেশি সচল থাকে ফলে রক্ত সরবরাহ ও স্নায়ু উদ্দীপনা ভালোভাবে হয়।

নামাজের আগে বা পরে ব্যায়াম:নামাজ পড়লে সাধারণত আর ব্যায়ামের প্রয়োজন হয় না। কেউ যদি করতেই চান তবে ১৫-২০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটতে পারেন। এ হাঁটা ইফতারের পরে করাই ভালো ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীরা সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করবেন না।

গৃহবধূদের হাত ও পায়ে ব্যথা:রোজায় গৃহবধূদের কাজের পরিমাণ ও ধরন বেড়ে যায়। এ সময় বিভিন্ন রান্না-বান্না ও কাটাকুটিতে হাতের কব্জি ও কনুইয়ে ব্যথা হতে পারে। কব্জিতে সাধারণত কারপাল টানেল সিনড্রোম বা ডিকুয়ারভ্যান সিনড্রোম এবং কনুইয়ে টেনিস এলবো রোগ হতে পারে। বারবার একই হাত দিয়ে একই ধরনের কাজ থেকে ফ্রিকশন হয়ে এ সমস্যা হয়।এ কাজ বন্ধ রেখে হাতকে বিশ্রাম দিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টি ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ ও হাত ইমমোবিলাইজ বা নড়াচড়া বন্ধ করার ব্যান্ড ব্যবহার করতে হবে। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে রান্নাঘরের কাজ করা যাবে না।

কর্পোরেট ওয়ার্কারদের জন্য:এদের যেহেতু দীর্ঘসময় চেয়ারে বসে কাজ করতে হয় তাই প্রতি ঘণ্টায় ৫-১০ মিনিট হাঁটা ভালো। এতে কোমর বা ঘাড় ব্যথা হবে না এবং শরীরের ওপর স্টেস কমবে। ফলে রোজা রাখা সহজ হবে। যারা কোমর ব্যথায় ভুগছেন তারা কাঠের চেয়ার ব্যবহার করতে পারেন। কোমর ব্যথার জন্য ব্যাক এক্সটেনশন এক্সারসাইজ ও হাঁটু ব্যথার জন্য ক্রোয়াডিসেপস এক্সারসাইজ করা যায়।

গর্ভবতীদের রোজা:গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যথা ও হাঁটু ব্যথা অন্যতম সমস্যা। ওজন বেড়ে যাওয়া এবং গর্ভস্থ শিশু পেটে চাপ দেয়াতে এ সমস্যা হয়। কোমর ব্যথা পায়ে ছড়িয়ে পড়লে তাকে সায়াটিকা বলে। গর্ভবতীরা মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের ব্যায়াম ইফতারের পরে করবেন এবং প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যথা লাঘবের চেষ্টা করবেন।

বয়স্কদের রোজা:রোজা যেহেতু বয়স্করাই বেশি করে থাকেন, তাই তাদের কয়েকটি জিনিসের দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে।

১. ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত ২-৩ লিটার পানি, লেবু বা ফলের শরবত, ডাব, চিড়া-পানি পান করতে হবে।

২.রোদে একটানা কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে রক্তের সুগার কমে যেতে পারে এবং পানিস্বল্পতা বা ডিহাইড্রেশন হতে পারে।

৩.সকালে না হেঁটে ইফতারের পর হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করা যায়।

৪.ইফতারে বেশি ভাজা-পোড়া, তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।

৫.তারাবির নামাজ আদায়ে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয় ফলে শরীরে ব্যথা-বেদনাও কমে যায়।

৬.রোজায় ওজন যেন না বাড়ে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জুন ৩, ২০১৭ ১:২৯ অপরাহ্ণ