নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানির জন্য আগামী ১৮ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছে হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে ‘জয় বাংলা’নিয়ে রাষ্ট্রীয় পলিসি বা রাষ্ট্রের কোনো বক্তব্য থাকলে তা জানাতে বলেছে আদালত। রবিবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহর সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করে দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা।
গত ৪ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা’ কে কেন জাতীয় স্লোগান করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও শিক্ষা সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রণধ্বনি ছিল ‘জয় বাংলা’। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ তার স্লোগান হিসেবে এখনো এই স্লোগানটি ব্যবহার করে। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দল তাদের পছন্দমতো স্লোগান ব্যবহার করে।
২০১৩ সালে যুদ্ধারপাধীদের ফাঁসির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের গড়ে উঠা আন্দোলনের সময়ও ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের বহুল ব্যবহার হয়েছিল। সে সময়ই কথা উঠে, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি বাদ দিয়ে কেন অন্য স্লোগান দেবে রাজনৈতিক দলগুলো। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বশির আহমেদ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন।
আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, পৃথিবীর সাতটি দেশে জাতীয় স্লোগান আছে। আমাদের দেশে কোনো জাতীয় স্লোগান নেই। জয় বাংলা স্লোগান আমাদের জাতীয় চেতনার স্লোগান। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালিত হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর্যন্ত এই স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে পায়নি।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

