আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কিছুদিন পরপর একের পর এক নৌকা উত্তর জাপানের উপকূলে ভেসে আসছিল। জীর্ণ এই নৌকাগুলোর কোনোটা খালি ছিল আবার কোনোটাই ছিল গলিত মৃতদেহ। চলতি বছরে মোট ৫৯টি ‘ভুতুড়ে’ নৌকা উদ্ধার করেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী।
সর্বশেষ গত শনিবার উপকূলে ভেসে এসেছিল একটি জীর্ণ নৌকা। খালিই ছিল নৌকাটি। তারপর সোমবার সাকাতা উপকূলে একটি পুরুষ দেহ ভাসতে দেখা যায়। দেড় ঘণ্টা পরে আরও দু’টি। প্রত্যেকটি দেহই পচন-ধরা। গত মাসেও এরকম নৌকা ও মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল।
কিন্তু কোথা থেকে আসছে নৌকা? এ নিয়ে বেশ বিব্রত জাপানিরা। সোমবার উদ্ধার হওয়া মৃতদেহে একটি ল্যাপেল পিন পাওয়া যায়। তা উত্তর কোরিয়ার বলেই সন্দেহ জাপানের। উদ্ধার হওয়া নৌকাটিতেও ছিল উত্তর কোরিয়ার অক্ষরে লেখা চিহ্ন। কিন্তু কেন-ই বা আসছে এমন রহস্যজনক নৌকা।
জাপানের দাবি, স্বনির্ভরতার প্রশ্নে পিছিয়ে রয়েছে উত্তর কোরিয়া, সুষম খাবারের অভাব রয়েছে। ফলে শাসক কিম জং উন সম্প্রতি মাছ চাষে জোর দিয়েছেন। যাতে দেশে প্রোটিনের উৎসের জোগান বাড়ে। আর এর জেরেই নিজেদের কোটা পূরণ করতে গিয়েই ঝুঁকি নিয়ে গভীর সমুদ্র যাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। তার জেরেই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এরপর জোরালো হাওয়া ও পানির স্রোতে উপকূলে ভেসে আসছে একের পর এক জীর্ণ নৌকা। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই ঘটনা বাড়তে থাকায় উপকূলে টহল শুরু হয়েছে। দিন কয়েক আগেই টহল দেওয়ার সময় এ রকম দু’টি নৌকা থেকে ১৮ জনকে উদ্ধার করেছিল জাপান।
আরোহীরা উত্তর কোরিয়ার নাগরিক বলে স্বীকার করেছিলেন। সূত্র: আনন্দবাজার।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ