১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:৫০

হাসপাতালের রাস্তাই যখন মুমূর্ষু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রবেশের প্রধান সড়কটি গত বছর সংস্কার করা হলেও বর্ষা মৌসুমে আবারও তা খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে হাসপাতালে আগত রোগী ও তাদের স্বজনরা প্রায়ই বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। ভাঙাচোরা এই সড়কে রিকশা-অটোরিকশা চলতে না পারায় রোগী পরিবহনে ভোগান্তি বাড়ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কার করা হবে।
অটোরিকশা চালক খোকন জানান, হাসপাতালের রাস্তাটা অনেক খারাপ। রাস্তার ভেতরের রড পর্যন্ত বের হয়ে গেছে। কোন সময় জানি চাকা পাংচার হয়ে যায় সেজন্য ওই রাস্তায় যাই না।

পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তৌয়বুর রহমান জানান, রাস্তার দক্ষিণ পাশ থেকে পানি চালচলের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার উপর দিয়েই বৃষ্টির পানি চলাচল করে। এর ফলে রাস্তাটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস সড়ক ও স্টেডিয়ামের সামনের সড়কগুলো ভাঙাচোরা হওয়ায় অধিকাংশ যানবাহন হাসপাতালের সড়কটি দিয়ে চলাচল করে। এতে এ সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তবে হাসপাতালে ভেতরের ১ হাজার ৮৭ ফিট রাস্তা সংস্কারের জন্য ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হবে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আব্দুর রহিম বলেন, হাসপাতালের সড়কটি ভাঙাচোরা হওয়ায় রোগী ও তাদের স্বজনদের চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য আমরা একাধিকবার গণপূর্ত বিভাগকে লিখিত ভাবে অবহিত করেছি।

এদিকে হাসপাতালের মধ্যে মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ও শিক্ষার্থীদের হোস্টেল থাকায় মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদেরও পানি-কাদার মধ্যে চলাচল করতে হয়। বর্ষার সময় পুরো সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :অক্টোবর ৪, ২০১৭ ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ