মো: গোলাম আযম সরকার (রংপুর):
রংপুরের পীরগাছায় দীর্ঘ ৫ মাস ধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)’র পদ শূন্য থাকায় সার্বিক কার্যক্রমে স্থবিরতাসহ উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যহত হচ্ছে। এদিকে জমি বিক্রয়ের ১% এর টাকা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও’র মতবিরোধ দেখা দেয়ায় মাসিক সমন্বয় সভা স্থগিত করার অভিযোগ উঠলেও ইউ এন ও মত বিরোধের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলামকে ৫ মাস আগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে বদলী করা হলে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও’র দায়িত্ব প্রদান করা হয় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলামকে। তিনি দায়িত্ব গ্রহনের পর একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ দুু’টি দপ্তর পরিচালনা করায় দাপ্তরিত কার্যক্রমে স্থবিরতার সৃষ্টি হয়। ফলে আটকে আছে নামজারী (খারিজ) কেসসহ জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন আবেদন ও অভিযোগ। দীর্ঘ দিনেও খারিজ কেস গুলোর শুনানী ও আবেদন-অভিযোগের বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন না করায় চরম বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগি ভূমি মালিকরা। এছাড়াও প্রায় ৬৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলায় নির্মানাধীন গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের গৃহ নির্মাণ সামগ্রী উপজেলা পরিষদ মাঠে মজুদ করে রাখা হলেও অজ্ঞাত কারনে তা প্রকল্প এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছেনা। খোলা আকাশের নীচে রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা বলেন , গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্পে কর্মী নিয়োগ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। শুরুতে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্র জমা নেয়া শুরু করলেও পরে তা ইউএনওর কার্যালয়ে জমা দেয়ার জন্য বলা হয়।
এদিকে ১৪ সেপ্টেম্বর পত্র দিয়ে মাসিক সমন্বয় কমিটির সভা আহ্বান করা হলেও হঠাৎ করে আগের দিন অনিবার্য কারন দেখিয়ে সভা স্থগিত করেন ভারপ্রাপ্ত ইউএনও আমিনুল ইসলাম। এতে কমিটির মেম্বাররাসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা দেখা দেয়। এ-ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আফছার আলী বলেন, সমন্বয় সভা স্থগিতের বিষয়ে তার সাথে কোন আলোচনা করা হয়নি। তিনি বলেন, সমন্বয় সভা স্থগিত করার ক্ষমতা না থাকলেও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও তা করেছেন।
কৈকুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম লেবু মন্ডল বলেন, উপজেলা চেরায়ম্যানের সাথে আলোচনা না করে মার্সিক সমন্বয় সভা স্থগিত করা ঠিক হয়নি। তিনি চেয়ারম্যানদের সাথে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও’র মতবিরোধের কথা অস্বীকার করে বলেন, জমি বিক্রয়ের ১% টাকা ইউনিয়ন পরিষদে দেয়ার বিষয়ে নতুন একটি চিঠি এসেছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক সিদ্ধান্ত দেবেন। একই ধরনের মন্তব্য করেন কান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম খাঁন ও অন্নদানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর