২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:২৮

নওগাঁয় পাঁচটি চালকলে জেলা ট্রাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা

নওগাঁ প্রতিনিধি:

অতিরিক্ত মজুদ ঠেকাতে নওগাঁয় পাঁচটি চালকলে জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটি থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সোমবার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনার সময় বেলকন গ্রুপের চালকলের ভিতরে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাঁধা প্রদান করা হয়। প্রশাসনের অনুমোতি সাপেক্ষে দুইজন সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। কিন্ত চালকল কর্তৃপক্ষ মুল গেটের ভিতর থেকে তাদেরকেও বের করে দেয়া হয়। এসময় প্রশাসন রহস্যজনক ভাবে নিরব ভূমিকা পালন করে।

চালকলগুলো হলো, বেলকন গ্রুপের ১ ও ২, নাদিরা, বিএইচ হাইটেক ও জান মোহাম্মদ। এর মধ্যে চারটি হচ্ছে আলহাজ্ব মো. বেলাল হোসেনের।

অভিযান পরিচালনাকারীরা বেলকন গ্রুপের চালকল পরিদর্শন শেষে মূলগেটে আসলে কোন ধরনের মজুদ আছে কিনা এবং কেন সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়া হলো না সে বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চায়। এসময় মূল গেটের পাশে চাল প্যাকেটিং একটি ঘরে সাংবাদিকদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েকটি ধানের বস্তা দেখা গেলেও মূল গুদামে সাংবাদিকদের নিয়ে যাওয়া হয়নি। এনিয়ে সাংবাদিকের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করে। ফলে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষরা বিপাকে পড়েছেন চাল নিয়ে। দেশে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এসব বিষয় সরকারের পক্ষ থেকে চালকলে অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশ দেয়া হয়। কোন চালকলে অতিরিক্ত চাল মজুদ আছেকিনা। অথচ অভিযান পরিচালনার সময় সাংবাদিকদের প্রবেশ নিয়ে নাটকীয়তায় শুরু হয়। যদি তাদের গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলায় অবস্থিত চালকল গুলোতে ট্রাস্কফোর্স কমিটি থেকে নজরদারী এবং পরিদর্শন করা হয়েছে। সরকারের নীতিমালা অনুসারে চালকলগুলো পরিচালিত হচ্ছে কিনা, স্টক ঠিক আছে কিনা এবং বাজারে নিয়মিত সরবরাহ করা হচ্ছে কিনা তা দেখা হবে। আর যদি তারা সরবরাহ না করে তাহলে বুঝতে হবে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে। কোন চালকল মিলে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত মজুদদারী করা হয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য নিয়মিত পরদির্শনের অংশ হিসেবে এটা করা হয়।

তিনি আরো বলেন, পরিদর্শনে দেখা যায় পাঁচটি চালকলে ধারন ক্ষমতার তুলনায় মজুদ কম আছে। আমরা নিয়মিত পরিদর্শন শুরু করেছি। আগামী কয়েকদিন আমরা নিয়মিত পরিদর্শন করব। এর প্রভাব চালের বাজারে পড়ে কিনা সেটা অবশ্যই মনিটরিং করে দেখব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল লিমন রায়, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭ ৯:০৫ অপরাহ্ণ