২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:১১

রাঙামাটির বাজারে গরু আসতে শুরু করেছে তবে বেচাকেনা জমেনি

শাহ আলম,রাঙামাটি
রাঙামাটির বাজারে কোরবানির গরু আসতে শুরু করেছে, তবে যাচ্ছে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ জেলার বাইরে। স্থানীয় বাজারে বেচাকেনা এখনো জমেনি। শনিবার বিকালে শহরের পৌর ট্রাকটার্মিনালে বসানো পশুর হাট গিয়ে দেখা যায়, এরই মধ্যে বাজারে প্রচুর পাহাড়ি গরু আনা হয়েছে সেখানে। রিজার্ভবাজারের শুটকি পল্লীতে বসানো হাটে কোনো পশু আনা হয়নি। সেখানে আজ (রোববার) থেকে পশুর হাট বসবে বলে জানিয়েছেন, স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, রাঙামাটি শহরে এবার পশুর হাট বসানো হয়েছে কেবল দুইটি। পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে বসানো হয়েছে পৌর ট্রাকটার্মিনালের পশুর হাট এবং জনগণের সুবিধার জন্য নিজেদের উদ্যোগে রিজার্ভবাজারের শুটকি পল্লীর পশুর হাট বসিয়েছে রিজার্ভবাজার ব্যবসায়ীকল্যাণ সমিতি।
এ বাজার ব্যবসায়ীকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন এবং সহ-সভাপতি বিমল বড়–য়া জানান, রিজার্ভবাজারের কোরবানি পশুর হাটটি ঐতিহ্যবাহী। স্থানীয় জনগণ যাতে সুলভ মূল্যে এবং হাতের নাগালে কোরবানি পশু কিনতে পারে সেজন্য প্রতি বছর স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী সমিতি নিজেদের উদ্যোগে এটির ব্যবস্থাপনা করে থাকে। বিক্রেতারাও নিজেদের সুবিধা মতো এ হাটে পশু বিক্রি করতে পারে। এখানে দালালদের কোনো রকম উৎপাতের সুযোগ থাকে না। সরাসরি ক্রেতা ও বিক্রেতারা পশু কেনাবেচা করতে পারে। আজ (রোববার) হতে রিজার্ভবাজারের শুটকি পল্লীর হাটে কোরবানি পশু কেনাবেচা শুরু হবে বলে জানান তারা।
শহরের পৌর ট্রাক টার্মিনালের পশুর হাট গিয়ে দেখা যায়, সেখানে জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে গরু আসতে শুরু করেছে। আজকালের মধ্যে আরও প্রচুর গরু আসবে। তবে স্থানীয়ভাবে বেচাকেনা জমেনি এখনো। কিছু কিছু ক্রেতা দাম যাচাই করতে আনাগোনা করলেও গরু কিনছেন না। তবে দাম নাগালের বাইরে নয় বলে জানান, ক্রেতাদের অনেকে।
বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয়ভাবে বেচাকেনা জমেনি। রোববার বিকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে জোর ৭-৮টি গরু বিক্রি হয়েছে। তাও সুলভে। তবে পাইকারী ব্যবসায়ীরা গরু কিনে ট্রাকে ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ জেলার বাইরে।
রাঙামাটি সদরের বন্দুকভাঙ্গা হতে আসা মৌসুমি ব্যবসায়ী হিরত কুমার চাকমা ও রবি সিন্ধু চাকমা বলেন, তারা ৫০-৬০টি গরু নিয়ে এসেছেন। কিন্তু বিক্রি নেই। নিজেদের থাকা, খাওয়াসহ গরুর খাবার জোগাতে বাধ্য হয়ে লোকসান দিয়ে একটি বড় আকারের গরু বিক্রি করেছেন কেবল ৪৫ হাজার টাকায়। অথচ গরুটি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছিল কমপক্ষে ৬০ হাজার টাকায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, পাইকারি দরে অনেক গরু বিক্রি হচ্ছে। সেগুলো পাইকাররা ট্রাকে ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছেন বাইরে। রোববার প্রায় ২০০-৩০০ গরু চট্টগ্রাম নেয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ী মো. জাফর বলেন, ওই হাটে রোববার বিকাল পর্যন্ত প্রচুর গরু আনা হয়েছে। আরও প্রচুর গরু আসবে। এগুলো সব স্থানীয় পাহাড়ি গরু। তিনি ১০০ গরু এনছেন বাজারে। তবে একটিও বেচতে পারেননি। দু’য়েক দিনের মধ্যেই কেনাবেচা জমবে বলে আশা করছেন তিনি।
স্থানীয় বিক্রেতা পরিমল ঘোষ বলেন, তিনি সদরের বালুখালী এলাকা হতে ৫টি গরু বিক্রির জন্য এনেছেন। ক্রেতারা দাম যাচাই করছেন, কিন্তু এখনো কিনছেন না।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

 

প্রকাশ :আগস্ট ২৭, ২০১৭ ৯:৪৪ অপরাহ্ণ