নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ২৫ জুলাই থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলবে ৯ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর হালনাগাদ ভোটারের খসড়া তালিকা ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে। ভোটার তালিকায় বিদেশি ঠেকাতে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত চার জেলার ৩০টি উপজেলাকে পাখির চোখ করেছে ইসি। এসব বিশেষ এলাকার মধ্যে কক্সবাজার জেলার ৮টি, বান্দরবানের ৭টি, রাঙামাটির ৮ ও চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হলো, কক্সবাজার সদর, চকোরিয়া, টেকনাফ, রামু, পেকুয়া, উখিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া। বান্দরবান সদর, রুমা, থানচি, বোয়াংছড়ি, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি। রাঙামাটি সদর, লংগদু, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া ও বাঁশখালী। এ বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আগে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বিশেষ উপজেলা ছিল ২০টি। এবার আরো ১০টি উপজেলা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ৩০টি এলাকার জন্য বিশেষ কমিটি করা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া রোধে এসব এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এসব এলাকায় কেউ ভোটার হতে চাইলে তাকে কমিটির কাছে মা-বাবা, ফুফু-চাচার এনআইডি দেখাতে হবে। এসব না থাকলে কিংবা বিদেশি নাগরিকত্বের প্রমাণ পেলে তাকে ভোটার করা হবে না।’ বিশেষ এলাকার বিশেষ কমিটি
বিশেষ এলাকার বিশেষ কমিটির ১৪ জন সদস্য হলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রতিনিধি, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রতিনিধি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ (পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রে), হেড ম্যান (পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রে), কারবারি (পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রে) ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে মাঠ প্রশাসন এবং বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) সহযোগিতা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে প্রাপ্ত বয়স্ক সবাইকে ভোটার তালিকাভুক্ত করার জন্য সচেতনতা সৃষ্টির প্রচারণায় সবাইকে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ