২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:৪০

২০১৮ সাল হবে শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির জন্য আতঙ্কের বছর: দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ত্রয়োদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গত বছরের মত এবারও আগামী বছরের জন্য বিশেষ আভিযানিক টার্গেট ঠিক করেছে দুদক। ২০১৮ সাল হবে শিক্ষা দুর্নীতিকারীদের আতঙ্কের বছর বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ২০১৭ সালের শুরুতেই কমিশন থেকে বলা হয়েছিল বছরটি হবে ঘুষগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের আতঙ্কের বছর। আমরা আমাদের কথা রাখার চেষ্টা করেছি। আজ পর্যন্ত ২৩টি ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে ঘুষখোর কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন প্রকাশ্যে ঘুষ খাওয়ার প্রবণতা কমে এসেছে। ২০১৮ সাল হবে শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতিকারীদের আতঙ্কের বছর। কারণ দেশের জনগণ ক্যাপসুল শিক্ষা চায় না। শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি হলে দেশ ধ্বংসের দিকে চলে যাবে। এখনই সময় সেটাকে থামানো।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণেই এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া কমিশনের প্রসিকিউসনে বিভিন্ন সংস্কার করা হয়েছে। ২০১৫ সাল হতে ২০১৭ সালে কমিশনে অভিযোগ প্রাপ্তি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। আর ২০১৭ সালে মামলার সাজার হার বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৭০ শতাংশে উপনীত হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি প্রায় শতভাগ মামলার সাজার বিষয়ে প্রসিকিউটিং এজেন্সি হিসেবে সঠিক দায়িত্ব পালন করা।
তিনি বলেন, কমিশনের সক্ষমতা বাড়াতে কর্মকর্তাদের দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরে কমিশনের নিজস্ব হাজতখানা, সশস্ত্র পুলিশ ইউনিট, গোয়েন্দা ইউনিট, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন ১০৬, রেকর্ড রুম নির্মাণ, সম্পদ পুনরুদ্ধার ইউনিট গঠনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। গত দুই বছরে দুদকের সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরো ১৩টি বিভাগীয় মামলা চলছে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :নভেম্বর ২১, ২০১৭ ১১:২১ পূর্বাহ্ণ