নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে ফিজিকেল অ্যারেঞ্জমেন্ট চুক্তি চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠকে এই রূপরেখার চূড়ান্ত হয়। দুই পক্ষ আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা শেষে রূপরেখা চূড়ান্ত করে।
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে দুই দিনের এই বৈঠক সোমবার শুরু হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বাংলাদেশ এবং পার্মামেন্ট সেক্রেটারি মিং থু মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এর আগে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা ও নীতিমালার ভিত্তিতেই এই ফিজিকেল অ্যারেঞ্জমেন্ট চূড়ান্ত করা হয়।
এতে বলা হয়, শনাক্তকরণ শেষে দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন এবং প্রতিটি পরিবারকে একটি করে ইউনিট হিসেবে গণ্য করা হবে। প্রত্যাবর্তনের জন্য বাংলাদেশে ৫টি ট্রানজিট ক্যাম্প স্থাপিত হবে এবং প্রাথমিকভাবে এখান থেকে মিয়ানমারের দুটি ক্যাম্পে প্রত্যাগতদের নেয়া হবে। এরপর তাদের অস্থায়ী আবাসনে আশ্রয় দেয়া হবে।
মিয়ানমার জিরো লাইনে অবস্থানকারীদের পুনর্বাসনে অগ্রাধিকার দেবে। দেশটি তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের গতি বন্ধের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় দেশ শনাক্তকরণ ও প্রত্যাবর্তন সম্পর্কিত দুটি টেকনিকেল ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে একমত হয়েছে।
ফিজিকেল অ্যারেঞ্জমেন্ট প্রত্যাবর্তন সম্পর্কিত সার্বিক রূপরেখা রয়েছে। বৈঠকে শনাক্তকরণ ‘ফর্ম’ চূড়ান্ত হয়েছে। প্রত্যাবর্তনের বিষয়ও রূপরেখায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইউএনএইচসিআর’র হিসেবে নির্মম ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান এই নৃশংসতাকে জাতিগত নিধনের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর