আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় তেবরিনের আঘাতে ফিলিপাইন যখন লণ্ডভণ্ড তখন দেশটিতে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। শনিবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্যাভাও শহরের একটি শপিংমলে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে দেশটিতে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক লোক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। খবর বিবিসি, রয়টার্স, গার্ডিয়ান। দেশটির প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুয়ের্তের ছেলে শহরের উপ-মেয়র পাওলো দুয়ের্তে জানিয়েছেন, ৩৭ লোকের বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই।
জেলার পুলিশ কর্মকর্তা রালফ ক্যানয়ের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে এনসিসিসি মল নামক চার তলাবিশিষ্ট ওই ভবনে আগুন লাগে এবং লোকজন সেখানে আটকা পড়ে। ভবনের শীর্ষ ফ্লরে একটি কল সেন্টার রয়েছে। ক্যানয় জানান, রোববার সকাল পর্যন্ত ওই ভবন থেকে আগুন বের হতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘তিন তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়, যেখানে কাপড়-চোপড়, কাঠের ফার্নিচার ও প্লাস্টিকের তারের দোকান রয়েছে। এর ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং নেভাতেও দেরি হচ্ছে।’ শহরের সাবেক মেয়র এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুয়ের্তে শনিবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি এখনও এই শহরেই থাকেন। দ্যাভোস ফিলিপাইনের সবচেয়ে বড় শহর, যা রাজধানী ম্যানিলা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় তেবরিনের আঘাতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে দেশটিতে নিহতের সংখ্যা দুইশ ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া অনেক লোক এখনও নিখোঁজ রয়েছে। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবরে বলা হয়েছে, মিন্দানাও দ্বীপের ক্ষতিগ্রস্ত কিছু প্রত্যন্ত এলাকায় এখনও উদ্ধারকারীরা পৌঁছতে পারছে না। তুবুদ ও পিয়াগাপো শহরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিয়ো গুতেরেস হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। জাতিসংঘ সাহায্য করতে প্রস্তুত আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি