মঙ্গলবার সকালে বহুল আলোচিত বরগুনা রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছিল বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে পরীক্ষা থাকায় এ মামলার তিন আসামি আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামি আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ও মো. সাগরের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলমান।
তাই সাক্ষ্যগ্রহণের একপর্যায়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে মিন্নি তার বাবার সঙ্গে বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যান।
এছাড়া এ মামলার অন্য দুই আসামি পরীক্ষার্থী আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন এবং মো. সাগরকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে বরগুনা জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতের আদেশে কারাগারে থাকায় বরগুনা জেলা কারাগারের ভেতরে পরীক্ষায় অংশ নেবেন তারা।
এ বিষয়ে মিন্নির বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেনের কিশোর বলেন, মিন্নির আজ পরীক্ষা আছে। বিষয়টি আদালতকে জানানো হলে আদালত মিন্নিকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেন। তাই তাই এ মামলার কার্যক্রম চলাকালে আদালতের অনুমতি নিয়েই মিন্নি বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যায়।
এদিকে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দুপুর দেড়টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রিফাত হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার এ মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন নিহত রিফাতের দুই চাচাসহ তিনজন।
অন্যদিকে দুপুর ২টায় বরগুনার শিশু আদালতে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন নিহত রিফাতের মা ডেইজি বেগম ও চাচাতো বোন নুসরাত জাহান অনন্যা।