২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:১৩

কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণার দাবি আল্লামা শফীর

অনলাইন

অবিলম্বে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসাস্থ হেফাজত কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। হেফাজত আমীর স্বাক্ষরিত লিখিত ওই বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী। হেফাজত আমীর শাহ আহমদ শফী এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। হেফাজত আমীর লিখিত বক্তব্যে বলেন, তথাকথিত ‘আহমদিয়া মুসলিম জামাত’ তথা কাদিয়ানী সম্প্রদায় ইহুদি-খ্রিষ্টানের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইসলামের নাম ভাঙিয়ে ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র ও মুসলমানদের ঈমান হরণের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘকাল যাবৎ অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মূলত কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের গুরুদাসপুর জেলার অন্তর্গত কাদিয়ান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এ কারণে তাকে কাদিয়ানী এবং অনুসারীদেরকে কাদিয়ানী সম্প্রদায় বলা হয়। তবে তারা নিজেদের “আহমদিয়া মুসলিম জামাত” নামে পরিচয় দিয়ে থাকে এবং “আহমদী” বলতে ভালোবাসে।

কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে কাফের উল্লেখ করে বলা হয়, কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সঙ্গে মুসলিম সমাজের বিরোধ হানাফী-শাফেয়ী বা হানাফী-আহলে হাদিস অথবা সুন্নি-বেদাতিদের মতবিরোধের মতো নয়, বরং তাদের সঙ্গে মুসলমানদের বিরোধ এমন কিছু মৌলিক আকিদা নিয়ে, যা বিশ্বাস করা না করার ওপর মানুষের ঈমান থাকা না থাকা নির্ভর করে। কাদিয়ানীরা ইসলাম ধর্মের অনেক মৌলিক আকিদা অস্বীকার করার কারণে নিঃসন্দেহে অমুসলিম ও কাফের। বরং যে ব্যক্তি তাদের কাফের মনে করবে না বা এতে সন্দেহ পোষণ করবে, সেও নিঃসন্দেহে কাফের।

তাদের কাফের হওয়ার কয়েকটি কারণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-‘খতমে নবুওয়াত’ অস্বীকার বা মুহাম্মদ (সা.)কে শেষ নবী হিসেবে না মানা। পবিত্র কোরআন পাকের ৯৯টি আয়াত ও ২১০টি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত এবং উম্মতের ঐকমত্য যে, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সর্বশেষ নবী এবং তাঁর পরে কিয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নতুন নবীর আবির্ভাব হবে না। এটি ইসলামের অকাট্য মৌলিক আকিদা, যার অস্বীকারকারী নিঃসন্দেহে কাফের।

মুসলমানদের এমন একটি অকাট্য আকিদার বিপরীতে অবস্থান নিয়ে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজেকে নবী ও রাসূল দাবি করেছে। (সূত্র: রূহানী খাযায়েন ১৮/২৩১ ও ২০৭; ২২/৫০৩; ২৩/৩২৮ ও ৩৩২)। সুতরাং মির্জা কাদিয়ানী মুসলমানদের সর্বসম্মত আকিদা মোতাবেক কাফের। আর যারা তাকে নবী বলে বিশ্বাস করে, তারা ইসলামের সর্বজনস্বীকৃত আকিদা মোতাবেক মুসলমান থাকতে পারে না; তারাও নিঃসন্দেহে অমুসলিম ও কাফের।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আল্লামা লোকমান হাসিম, যুগ্ম মহাসচিব সালিম উল্লাহ, হেফাজতে ইসলাম, নোমান মেখলী, ইসহাক নুর, মঈনুদ্দিন রাহী, নুরুল ইসলাম, মাহমুদ হাসান, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, আশরাফ আলী নিজামপুরী, মুহাম্মদ রফিক নানুপুরী, নাসির উদ্দিন মনির, হাফেজ ফয়সাল, মীর ইদ্রিস, আলমগীর, সরওয়ার আলম, অলিউর রহমান খান প্রমুখ।

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯ ১০:১১ পূর্বাহ্ণ