ক্রীড়া ডেস্ক:
যেন এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। ওই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরুর ধাক্কা সামলে উঠেছিল বাংলাদেশ মুশফিক-মিথুনের ব্যাটেই। আজ ফাইনালে যাওয়ার ম্যাচেও এ দুজনের ব্যাটেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। মিথুন আউট হয়ে ফিরে গেলেও ক্রিজে আছেন মুশফিক।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান। মুশফিকুর রহিম ৮৯ ও মাহমুদুল্লাহ ২ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন।
মাত্র ১২ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারানোর পর মুশফিক-মিথুনের ১৪৪ রানের জুটিতে ধীরে ধিরে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুজনের জুটি থেকে আসে ১৩১ রান।
দুই ওপেনার ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তড়িঘড়ি করে আরব আমিরাতে উড়িয়ে আনে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে। ইমরুল নিজেকে প্রমাণ করতে পারলেও ব্যর্থ হয়েছেন সৌম্য সরকার।
সাকিবের পরিবর্তে একাদশে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন মমিনুলও। ইনিংসের চার ওভার না যেতেই বাংলাদেশ হারিয়ে বসে তিন উইকেট। সৌম্য মমিনুলের সঙ্গে ফিরে গেছেন লিটন দাসও।
মমিনুল রানের খাতা খুলতে পারলেও শূন্য রানে ফেরেন দীর্ঘ ১০ মাস পর দলে ফেরা সৌম্য সরকার। জুনাইদের বলে আউট হন তিনি। মমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ৫ রান।
আবুধাবি শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হয়।
ওপেনিংয়ে ব্যর্থ হওয়া নাজমুল হোসেন শান্তকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। এ ছাড়া একাদশে ফিরেছেন পেসার রুবেল হোসেন। এদিকে পাকিস্তান দল মাঠে নেমেছে এক পরিবর্তন নিয়ে। মোহাম্মদ আমিরকে বসিয়ে দলে নেওয়া হয়েছে জুনাইদ খানকে।
এশিয়া কাপ সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ রূপ নিয়েছে অলিখিত সেমিফাইনালে। এ ম্যাচের জয়ী দলই ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে।