২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:৩৩

বিসিএলে প্রথমবার খেলেই চ্যাম্পিয়ন মাশরাফী

স্পোর্টস ডেস্ক:

উত্তরাঞ্চলের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট পেছনে থেকে শেষ রাউন্ডের ম্যাচ শুরু করেছিল দক্ষিণাঞ্চল। অর্থাৎ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে টপকাতে হতো বিশাল বাধা। আর তা তিনদিনেই অনায়াসে করে ফেললো দলটি। আর করবেই না কেন? গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে যে খেলেছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ঘরোয়া ক্রিকেটে যেখানে খেলেন চ্যাম্পিয়ন হয়েই ঘরে ফেরেন। অনুপ্রেরণার বড় নাম। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) খেলেই চ্যাম্পিয়ন মাশরাফী। যদিও বৃহস্পতিবার সব কাজ সেরেছেন দলের অধিনায়ক ও বন্ধু আব্দুর রাজ্জাক। একাই উত্তরাঞ্চলের ব্যাটিং লাইন আপ গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এ স্পিনার। ইনিংস ও ৬৩ রানের বড় জয় নিয়েই শিরোপা উল্লাস করে দলটি।

বাংলাদেশে মূলত চারটি ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয় -ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) ও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)। আর এ চারটি টুর্নামেন্টেরই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মাশরাফী। প্রিমিয়ার লিগ জিতেছেন আবাহনী লিমিটেডের হয়ে, বিপিএল রংপুর রাইডার্সের এবং জাতীয় লিগ জিতেছেন খুলনা বিভাগের ডেরায় খেলে। আর বৃহস্পতিবার দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে জিতলেন বিসিএল।

অথচ শেষ রাউন্ডের ম্যাচের আগে মনে হয়েছিল উত্তরাঞ্চলের টানা দ্বিতীয় শিরোপা যেন সময়ের ব্যাপার। এবারের আসরে একমাত্র তারাই ২টি জয় পেয়েছিলো। আর বাকি সব দল ছিলো ড্র ও হারের বৃত্তে। কিন্তু মাশরাফীর উপস্থিতিতেই যেন বদলে যায় সব। শেষ ম্যাচে জয়তো পেয়েছেই দক্ষিণাঞ্চল, সঙ্গে বোনাস পয়েন্ট পেল ৮টি। যেখানে উত্তরাঞ্চল বোনাস পায় মাত্র ২টি। সব মিলিয়ে এ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণাঞ্চল। তাদের সংগ্রহ ৬৫ পয়েন্ট। আর ৬২ পয়েন্ট নিয়ে রানার্স আপ হয়েছে গেলবারের চ্যাম্পিয়ন উত্তরাঞ্চল।

খুলনার শেষ আবু নাসের স্টেডিয়ামে আগের দিনের বিনা উইকেটে ৩২ রান নিয়ে খেলতে নামে উত্তরাঞ্চল। কিন্তু এদিন নেমেই সব ওলট পালট। রাজ্জাকের বোলিং ঘূর্ণিতে পড়ে দিনের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে উত্তরাঞ্চল। ফলে মাত্র ১১৫ রানেই গুটিয়ে যায় দলটি। ৪৮ রানের খরচায় ৬টি উইকেট নিয়েছেন রাজ্জাক। আগের ইনিংসেও পেয়েছিলেন ৫টি উইকেট। তাই মোট ১১ উইকেট স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরা তিনি। তবে এদিন তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন সাকলাইন সজীব। ৩৪ রানের খরচায় তিনি পেয়েছেন ৩টি উইকেট। ১ উইকেট পেয়েছেন পার্ট টাইম বোলার ইমরুলও। তবে এদিন বল হাতে নেননি মাশরাফী।

প্রথম ইনিংসে মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ঢাল ধরেছিলেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেছেন এ অল রাউন্ডার। সপ্তম উইকেটে ফরহাদ রেজার সঙ্গে তার গড়া ৩৪ রানের জুটিটিই ছিলো ম্যাচের সর্বোচ্চ। যার সবগুলো রানই এসেছে সোহরাওয়ার্দীর ব্যাট থেকে। মাঝে সাকলাইনের এক ওভারে টানা ৪টি বাউন্ডারি মারেন তিনি। এছাড়া এদিন দুই অঙ্কের কোঠায় পৌঁছাতে পেরেছেন কেবল অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম। তাও মাত্র ১০ রানের ইনিংস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
উত্তরাঞ্চল : প্রথম ইনিংস : ১৮৭।
দ্বিতীয় ইনিংস : ১১৫ (মিজানুর ২০, জুনায়েদ ১৬, শান্ত ৪, ফরহাদ ৬, জহুরুল ১০, ধীমান ৪, আরিফুল ৪, সোহরাওয়ার্দী ৪১, রেজা ০, তাইজুল ৯*, শফিউল ০; মাশরাফী ০/২৪, রাজ্জাক ৬/৪৮, সাকআলিন ৩/৩৪, নাহিদুল ০/২, ইমরুল ১/৬)।

দক্ষিণাঞ্চল : প্রথম ইনিংস : ৩৬৫/৮ ডিঃ

ফল : দক্ষিণাঞ্চল ইনিংস ও ৬৩ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ : আব্দুর রাজ্জাক (দক্ষিণাঞ্চল)।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :এপ্রিল ২৬, ২০১৮ ১:২৪ অপরাহ্ণ