জাবি ভিসির নিয়োগ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

পরে রিটকারীর অন্যতম আইনজীবী মঞ্জুর আলম সাংবাদিকদের জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১১ (১) ধারা অনুসারে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য তিন সদস্যের প্যানেল মনোনয়ন করতে হবে। কিন্তু, অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের ক্ষেত্রে সেটা করা হয়নি।

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এক সপ্তাহের রুল জারি করেছেন। বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে আদালতের এ আদেশ বিবাদীদের কাছে পাঠাতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব জিন্নাত রেহানাকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব জিন্নাত রেহানা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১১ (১) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ প্রদান করেছেন।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির এবং নাটক ও নাট্যতত্ব বিভাগের লুতফর রহমান নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মঞ্জুর আলম।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২ মার্চ প্যানেলে নির্বাচিত হয়ে দেশের প্রথম নারী ভিসি হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেন অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। আগামী ২ মার্চ তার মেয়াদ শেষ হবে। এরই মধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেয় সরকার।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ