নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈধভাবে স্বর্ণ আমদানির জন্য নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সংগঠনটি বলছে, এ নীতিমালা হলেও স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। এসময় সভাপতি গঙ্গা চরণ মালাকারসহ সমিতির অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চোরাচালানের রুট (রাস্তা) হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারতের সোনার দাম ও আমদানি খরচ অনেক বেশি হওয়ায় বাংলাদেশের মাধ্যমে সোনা ভারতে যাচ্ছে। নীতিমালা করা হলে দেশের স্বর্ণ শিল্প লাভবান হবে। কিন্তু নীতিমালা হলেও স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে যে চরম ঘৃণ্য কাজ করেছেন তার বিচার দাবি করছি। আপন জুয়েলার্স বাজুসের সদস্য। ওই জুয়েলার্সের অবৈধ স্বর্ণ ও তার ছেলের অপকর্মের দায় সমিতি বহন করবে না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, বর্তমানে সোনা আমদানিতে প্রতি ভরিতে ৩ হাজার এবং ৪ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। এটি কমিয়ে ৫০০ টাকায় নামিয়ে আনতে হবে। এলসি খোলার প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। ব্যবসায়ীদের কাছে সোনা সরবারহের জন্য গোল্ড এক্সচেঞ্জ বা গোল্ড ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সর্বোপরি আগামী অর্থবছরে যুগোপযোগী ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা করতে হবে। নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এমএম