স্বাস্থ্য ডেস্ক:
বাজারে আসার পর প্রাথমিকভাবে সবাই মনে করেছিল ই-সিগারেট বা ভ্যাপিং ধূমপায়ীদের স্বাস্থ্যের জন্য সুফল বয়ে আনবে। কিন্তু গবেষকেরা বলছেন ভিন্ন কথা। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে ভ্যাপিংয়ের কারণে ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বার সপ্তাহ এক দল ইঁদুরের উপর ‘হালকা ই-সিগারেট’-এর ধোঁয়ার প্রভাবে থাকার ফলে সেগুলোর মুত্রথলি, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সাথে ইঁদুরগুলোর ডিএনএ ও ফুসফুসের প্রোটিনের সেরে ওঠার ক্ষমতাও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। অর্থাৎ, যেভাবেই গ্রহণ করা হোক, নিকোটিন আপনার শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ই-সিগারেটের বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ সনাক্ত করেন। এই গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে আগামী একবছরে আরও বিভিন্ন প্রাণীর উপর গবেষণা চালাবেন বিজ্ঞানীরা। তারা দেখেছেন, ই-সিগারেট সেবনকারীদের শরীরে তামাকের ক্ষতিকারক উপাদান নাইট্রোসেমিনের পরিমাণ সাধারণ ধূমপায়ীদের শরীরের পাওয়া ওই পদার্থের চেয়ে ৯৭% বেশি। তা সত্ত্বেও, অধূমপায়ীদের শরীরে থাকা নাট্রোসেমিনের পরিমাণের চেয়ে তা ‘উল্লেখযোগ্য হারে’ বেশি।
গবেষণাপত্রটির লেখক মুন-শং ট্যাং ব্লুমবার্গ পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ সিগারেট ও ই-সিগারেটের মধ্যে কোনটি বেশি ক্ষতিকর তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাধারণত ই-সিগারেটকে কম ক্ষতিকারক মনে করা হলেও, দুটোতেই ক্যান্সার সৃষ্টিকারী নাইট্রোসেমিন থাকে। অর্থাৎ, ধূমপায়ীদের ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকেই যায়।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি