আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানে একের পর এক ধর্ষণ ঘটনায় ফুঁসে ওঠা মানুষের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালালে দুই বিক্ষোভকারী নিহত হয়। বুধবার দেশটির কাসুর শহরে এ ঘটনা ঘটে। বিবিসির সংবাদ।
গত এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকার পর আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় সাত বছর বয়সী জয়নাবকে। তাকে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যৌন নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভূমিকাকে সমালোচনা করে স্থানীয় জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। উত্তেজিত জনতা দক্ষিণ লাহোরের ২০ কিলোমিটারের দূরত্বে কাসুরের পুলিশ হেডকোয়ার্টারে হামলা চালাতে গেলে পুলিশ তাদেরকে থামাতে গুলি চালায়। এতে দুইজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআন শিক্ষার জন্য বের হলে জয়নাবকে অপহরণ করা হয়। এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে তার লাশ পাওয়া যায়।
জয়নাবের পরিবার অভিযোগ করে, নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশকে তাৎক্ষণিক জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। জয়নাবের বাবা পাকিস্তানের জিও টিভিকে বলেন, পুলিশ যদি তড়িৎ ব্যবস্থা নিত তাহলে অপরাধীকে ধরা সম্ভব হতো। পুলিশ তাদের অভিযোগ অস্বীকার করে জানাচ্ছে, গত দুই বছরে এ ধরণের বারোটি অভিযোগ আসে মাত্র। তার মধ্যে পাঁচটি ঘটনার সাথে অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আরও ৯০ জন সন্দেহভাজন থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে জয়নব ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা পাকিস্তান জুড়ে আলোড়ন তুলেছে। জনপ্রিয় সিনেমা ও ক্রিকেট তারকা থেকে শুরু করে অনেকেই অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেয়ার দাবী তুলেছে।
দৈনিক দেশজনতা / আই সি