২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:৪২

আবার সেশনজটের কবলে পড়তে যাচ্ছে বেরোবি

দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক :

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৬ দিনেও নতুন উপাচার্য নিয়োগ না দেয়ায় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এছাড়াও উপ-উপাচার্যের পদটি শূন্য রয়েছে প্রথম থেকেই। কোষাধ্যক্ষ পদটি শূন্য দীর্ঘদিন ধরে। শীর্ষ তিনটি পদ শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কাউকে দায়িত্ব না দেয়ায় উপাচার্যের কাজগুলো আটকে আছে। শুধুমাত্র রেজিস্ট্রার তার আওতাভুক্ত কাজগুলো করছেন। তবে সিদ্ধান্ত নেয়ার কেউ না থাকায় কেবল তা উপাচার্যের দফতরে জমা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোনো উপ-উপাচার্য পায়নি। কোষাধ্যক্ষ পদটিও শূন্য ২০১৩ সালের ১৭ আগষ্ট থেকে। নিয়ম অনুযায়ী শীর্ষ এ তিন পদেই নিয়োগ দিয়ে থাকেন আচার্য (রাষ্ট্রপতি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ সিদ্ধান্ত দেন উপাচার্য। তার অনুমতি ছাড়া অনেক ছোটখাটো কাজও করতে পারেন না শিক্ষক-কর্মকর্তারা। কিন্তু বর্তমানে পদটি শূন্য থাকায় ওই কাজগুলো কেউ করতে পারছেন না।  উপাচার্যের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন উত্তোলন করা সম্ভব নয়। ফলে চলতি মাসেই উপাচার্য নিয়োগ না হলে আটকে যাবে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতাও।

এছাড়া উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিভিন্ন অনুষদের ডিনসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে কাউকে নিয়োগ না দিয়ে একাই ১৪ পদ আঁকড়ে ছিলেন সদ্যবিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন নবী। আর উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে দেখা দিয়েছে শূন্যতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের আগের সেমিস্টারের ফল প্রস্তুত হলেও উপাচার্যের অনুমোদন না থাকায় তা প্রকাশ হচ্ছে না। এতে বিভাগগুলো পরবর্তী সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করতে পারছে না।

তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধানের ছুটি, কোনো বিভাগের বাইরে ট্যুর প্রোগ্রামের অনুমোদনসহ অন্য সব বড় কাজের জন্য প্রয়োজন হয় উপাচার্যের অনুমতি। শুধু তা-ই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাড়া একটি টাকাও বর্তমানে অনুমোদন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর বলেন, উপাচার্য ছাড়াই দৈনন্দিন কাজগুলো কোনো রকম চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। এই সমস্যা কাটাতে যত দ্রুত সম্ভব উপাচার্য নিয়োগ দেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বলেন, দীর্ঘ সময় উপাচার্য না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় একটি জটিল সেশনজটের কবলে পড়তে যাচ্ছে। অবিলম্বে শীর্ষ এ তিন পদ পূরণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

দৈনিক দেশজনতা/এমএম

প্রকাশ :মে ২১, ২০১৭ ৬:৫৫ অপরাহ্ণ