২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১০:১৫

বয়স ৩০ হলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

জন্মের পর থেকে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারতে থাকে। এবং সেটা কমতে শুরু করে ৩০ বছর থেকে। এছাড়া এমন কিছু রোগ জীবাণু আছে যা মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে আক্রমণ করতে থাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয় ৩০ বছর বয়সের পর অবশ্যই কিছু রক্ত পরীক্ষা নিয়মিত করা জরুরি। সবগুলো পরীক্ষা করা না গেলেও অত্যন্ত পাঁচটি রক্ত পরীক্ষা অব্যশই করতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন পরীক্ষাগুলো অব্যশই করা উচিত। নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য।

থাইরয়েড : ৩০ বছর বয়সের পর অব্যশই থাইরয়েডের পরীক্ষা করা জরুরি। শরীরে হাইপার থাইরয়েডিজম, হাইপো থাইরয়েডিজম, থাইরয়েড ক্যানসার, থাইরয়েডিটিস আছে কিনা জানতে এই পরীক্ষা করা হয়।

আর এগুলো দেখতে এফটিফোর, টিপিও, টিএসএইচ, মাইক্রোসোমাল অ্যান্টিবডি, এফটিথ্রি, এবং এটিএ থাইরোগ্লোবিউলিন অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়।

ডায়াবেটিস : ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা যেকোনো সময় যে কারো হতে পারে। আপনার বয়স যদি ৩০ হয় এবং এখন পর্যন্ত ডায়াবেটিস পরীক্ষা না করে থাকেন তবে আজই পরীক্ষা করুন। নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্য ৩০ বছর বয়সের পর অব্যশই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা জরুরি।

যেসব নারী অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছেন এবং সন্তানসম্ভবা, তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাদের এফপিজি, ওজিটি এবং এইচবিএওয়ানসি অথবা গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন টেস্ট করা জরুরি।

এনিমিয়া : এই রোগটি দেখা যায় যখন রক্তে আয়রন, ভিটামিন বি ১২, ফলিক এসিড, আয়রনের অভাব হয়। রক্ত ভালো আছে কিনা জানতে কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি), ভিটামিন বি ১২ টেস্ট, সিরাম আয়রন টেস্ট, টিআইবিসি (টোটাল আয়রন বাইন্ডিং ক্যাপাসিটি), ট্রান্স ফেরিন এবং আয়রন স্যাচুরেশন টেস্ট করানো উচিত।

সিবিসি টেস্ট : সিবিসি টেস্ট বা কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট টেস্ট অন্তত বছরে একবার করা উচিত। এই পরীক্ষা করার ফলে হিমোগ্লোবিন, সাদা কণিকা (সেল) এবং প্লেটেলেট গণনা করা হয়। শরীরের রক্তের কী অবস্থা তা সিবিসি চেকআপের মাধ্যমে জানা যায়।

এসটিডি : ৩০ বছর বয়স হলে এইচিআইভি পরীক্ষা করা প্রয়োজন। সাধারণত এইচআইভি/ এইডস, হেপাটাইটিস বি, সিফিলিস, হারপেস এবং গনোরিয়া রোগে এসটিডি পরীক্ষা করা হয়।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জানুয়ারি ৭, ২০১৮ ৪:৪১ অপরাহ্ণ